বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রোহিঙ্গা নিপীড়নে দোষীদের শাস্তি দিতে মিয়ানমারকে প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জাতিসংঘের

 

১০ মে, রয়টার্স : রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য মিয়ানমারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। গত বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। পরিষদের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর নিয়ে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো মানুষ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সংস্থা গুলো মিয়ানমারের সমালোচনা করতে থাকে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপে মিয়ানমার জানায়, দোষীদের শাস্তি দেবে তারা।

বুধবার দেওয়া নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়া খুবই জরুরি। রাখাইনে তারা দেখেছেন, সেখানে তীব্র মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। বিষয়টিতে খুবই উদ্বিগ্ন তারা।  এছাড়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে সবাই দাঁড়ানোর আহ্বানও জানানো হয় বিবৃতিতে।

জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমারের কাজ করার আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, খুব শিগগিরই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবাসন শুরু হওয়া প্রয়োজন।  এদিকে, মঙ্গলবার চারটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করেছে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, দ্য গ্লোবাল সেন্টার ফর দ্য রিসপন্সিবিলিটি টু প্রটেক্ট ও ফর্টিফাই রাইটস এই অভিযোগ আনে। তারা মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা নিপীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানায়।

এছাড়া, রোহিঙ্গা নিপীড়নে জড়িতদের শাস্তির মুখোমুখি করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বানোর বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাজ্যের একটি খসড়া প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে চীন। পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে একমাত্র চীনই এই খসড়া প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে। সকল সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদে কোনও প্রস্তাব পাস হয় না। চীন জানিয়েছে, জাতিসংঘ মিয়ানমারকে তদন্তের জন্য চাপ দিক এমনটা চায় না তারা। বরং রাখাইনের পরিস্থিতি উন্নয়নে মিয়ানমারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করা উচিত।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ