মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার করলেন মেয়র প্রার্থী মঞ্জুর
খুলনা অফিস : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, মাদকের মরণ নেশায় যুব সমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। মাদক সমাজকে নানাভাবে কলুষিত করে বিভিন্ন সংকটের জন্ম দিচ্ছে। এই শহরে কারা মাদক ব্যবসা করে, কারা তাদের গডফাদার, কারা তাদের লভ্যাংশভোগী তা সবার জানা। পত্রপত্রিকায় তাদের ছবি ছাপা হয়েছে। শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। ১৫ মে জনগণের রায়ে মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। গতকাল সোমবার নগরীর দৌলতপুর থানার ৬ ও ৪ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন। সকাল ৮ টায় ৬ নং ওয়ার্ডের রনি ভিলা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ী, পথচারী, যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের হাতে ধানের শীষ প্রতীকের লিফলেট তুলে দেন। তিনি তাদের কাছে ভোট ও দোয়া কামনা করেন। এরপর কবির বটতলা, শাহপাড়া, মজুমদার পাড়া, ফকির পাড়া, আফিলউদ্দিন স্কুল, সেভ এন্ড সেফ এলাকায় গণসংযোগ করেন। এরপর ৪ নং ওয়ার্ডের চনুর বটতলা, দেয়ানা দক্ষিণপাড়া, মোড়লপাড়া, বন্দপাড়া, আসাদের মোড় হয়ে দুপুরে পাখির মোড়ে গণসংযোগ শেষ করেন।
এ সময় তার সাথে সিনিয়র আইনজীবী বজলুর রহমান, বিজেপি সভাপতি এডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি খান গোলাম রসুল, থানা বিএনপি সভাপতি শেখ মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক নান্নু, সাইফুর রহমান মিন্টু, আব্দুর রকিব মল্লিক, শেখ ইমাম হোসেন, শহিদুল ইসলাম, মুর্শিদ কামাল, শেখ আনসার আলী, মিনারুল ইসলাম, মাসুদ রানা ডাবলু, কামাল মুনীর, শরীফুল আনাম, মোল্লা মুজিবর রহমান, রোবায়েত হোসেন বাবু, সাইফুল ইসলাম মামুন, আরমান হোসেন, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, হাফিজুর রহমান পিন্টু, মোল্লা সোহেল, মিনু খান, সাইফুল ইসলাম, মো. বাকি, রাসু, শোভন, মনিরুল প্রমুখ।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, খুলনায় বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরাই শুধু ঐক্যবদ্ধ নন, এই নগরীর ভোটাররাও ১৫ মের নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য স্বতঃস্ফূর্ত প্রস্ততি গ্রহণ করেছে। তারা এই জালিম সরকারের অপশসানের জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিতে চায়। ভোটারদের এই গণজাগরনকে ধরে রাখতে হবে এবং তারা যাতে নির্বিঘেœ কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিতে পারে, নির্বাচন কমিশনকেই তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে বিজয় মানেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের এক ধাপ অগ্রগতি। এই ভোট নিয়ে শাসক দলের যে কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য প্রস্তত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী পেশাজীবীদের সর্বোচ্চ সংগঠনের শীর্ষ এই নেতা সোমবার খুলনার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে পথ সভায় এ আহবান জানান। সকাল ৯টায় নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের ১ নং কাস্টম ঘাট থেকে তার নেতৃত্বে গণসংযোগ শুরু করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ খুলনার নেতাকর্মীরা। এ এলাকায় সকল জনবসতি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা লিফলেট দেন ও ধানের শীষে ভোট চান। তারা নতুন বাজার, বাঁশ পট্টি, কাগজী লেন, দাদাজী কলোনী, মাছ বাজার ও সংলগ্ন সকল এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এ সময় তার সাথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. ওবাইদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট মহাসচিব অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া, অতিরিক্ত মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, অধ্যাপক ডা. সেখ মো. আখতার উজ জামান, ডা. মোস্তফা কামাল, ডা. এম এ লতিফ, ডা. শওকত আলী লস্কর, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল ও অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক এহতেশামুল হক শাওন ও এরশাদ আলী, কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুব কায়সার, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজা খানম এলিজা, ছাত্রদল মহানগর সাবেক সভাপতি রুহুল আজিম রুমী, জাহিদ কামাল টিটু, সিরাজুল ইসলাম লিটন, জহিরুল ইসলাম জুয়েল, জাহাঙ্গীর মল্লিক, লুৎফর রহমান, এমডি খায়রুল ইসলাম জনি, খন্দকার ফারুক হোসেন, হায়দার আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে তিনি ২৪ নং ওয়ার্ড ও সন্ধ্যায় ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন।