সিইসি’র কাছে ১৬ দফা সুপারিশ বিএনপির মেয়র প্রার্থী মঞ্জুর
খুলনা অফিস : আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে ১৬ দফা সুপারিশ দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নগরীর বয়রা মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে প্রার্থীদের সাথে সিইসি’র মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ দাবিগুলো লিখিতভাবে উত্থাপন করেন।
সুপারিশসমূহ হলো-সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের পরিবর্তে খুলনা জিলা স্কুল অথবা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে ভোট গণনা এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম সংরক্ষণের স্থান নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে কেসিসি নির্বাচনে খুলনা জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামটি ব্যবহার করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত সমন্বয় কমিটিতে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও ডিজিএফআই-এর কর্নেল পদবিধারী কর্মকর্তাসহ রিটার্নিং অফিসারের চেয়েও অনেক উচ্চ স্তরের প্রভাবশালী কর্মকর্তা না রাখা। কারণ তাদের যে কোন আদেশ নির্দেশ এমনকি তা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হলেও রিটার্নিং অফিসারকে মেনে চলতে হবে। এছাড়া এ ধরনের সমন্বয় কমিটি নির্বাচন কমিশন ইতোপূর্বে কখনই গঠন করেনি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বাস্তবায়ন করা। ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তাবিত প্রিসাইডিং অফিসার ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের তালিকা ধরে পুলিশ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা তাদের নাম ও ঠিকানা, পরিবারের অন্যান্যদের নানাবিধ স্পর্শকাতর তথ্য যাচাই বাছাইয়ের নামে হয়রানি করে ভীতি সৃষ্টি না করা। সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক এর নির্বাচনী সভায় যে সকল সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অংশ গ্রহণ করেছেন এবং তার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন সে সকল কর্মকর্তাদের কোন প্রিসাইডিং অফিসার এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকান্ডেই দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না। সকল ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে। পুলিশের প্রতি আমাদের বিন্দুমাত্র আস্থা নেই। এ অবস্থায় নির্বাচনী এলাকার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা গত ২/৩ বছর যাবৎ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত তাদেরকে পরিবর্তন/প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সময়ের আগে ও পরে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়। ‘সচেতন সাংবাদিক সমাজ’ নামে সাংবাদিকদের নতুনভাবে গড়ে ওঠা একটি সংগঠনের ব্যানারে যে সকল সাংবাদিক সরকার দলের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক এর পক্ষে ব্যাপকভাবে নির্বাচনী কার্যকলাপে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের (সাংবাদিক) নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা অন্য কোন দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না। নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করার পর বিভিন্ন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সকল মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে সে সকল মামলায় কোন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার না করা এবং গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মামলা প্রদান, গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। পুলিশ বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি, যুবদল ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নাম দিয়ে ও অজ্ঞাতনামা আরও আসামি দিয়ে পুলিশ প্রতি রাতে বাড়ি বাড়ি হামলা করে নির্বাচন থেকে বিরত থাকার জন্য ভয়ভীতি প্রদান করছে যা বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। ভোট কেন্দ্রে মোট কতগুলো ভোট বাক্স প্রদান করা হয় তার হিসাব ও নম্বর প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে জানাতে হবে। রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার ভোট কেন্দ্রের প্রার্থীর এজেন্টদের সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য থাকবেন। নির্বাচনের দিন ভোর ৫টার পর ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও বাক্স পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের স্থানীয় ইউনাইটেড ক্লাবে ডেকে নিয়ে তাদের প্রতি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করা হয়েছে এমন দাবি করে এসকল কর্মকা-ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে সুপারিশে।