শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

যুব সমাজকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে কুরআনের বিকল্প নেই -শিবির সভাপতি

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মাসিক সেক্রেটারিয়েট বৈঠকে সভাপতির বক্তব্য রাখেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত -সংগ্রাম

 

বাংলাদেশে ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, কুরআন হচ্ছে মানব জাতির জন্য পথ প্রদর্শক। কুরআনের আলোকে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ গঠন করতে হবে। দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তির জন্য কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। তাই কুরআনের আলো ঘরে ঘরে পৌছাতে ছাত্রসমাজকে ভূমিকা পালন করতে হবে। 

তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের মাসিক সেক্রেটারিয়েট বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইনের পরিচালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল। এসময় কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

শিবির সভাপতি বলেন, খুন, ধর্ষণ চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের কারণে দেশে অস্থিরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের নৈতিক অবক্ষয় মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। স্কুলগামী ছাত্ররাও ভয়াবহ অপরাধে জাড়িয়ে পড়েছে। অল্প বয়সেই খুন ধর্ষণের মত ভয়ানক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম অল্প বয়সেই নেশা ও অনৈতিকতায় পা দিচ্ছে। যা প্রতিদিনই মিডিয়ার কল্যাণে দেশবাসী দেখছে। প্রতিটি মা-বাবা তাদের সন্তানদের নিয়ে এখন গভীর শঙ্কাবোধ করছে। নৈতিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ ক্রমেই অশান্তিপূর্ণ এবং অস্থিতিশীল হয়ে যাচ্ছে। এ যুব সমাজকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে কুরআনের আলোকে জীবন গঠনের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সরকার কুরআনের শিক্ষাকে সংকুচিত করে ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করছে। মুসলিম উম্মাহকে যে দায়িত্ব ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তা টিকিয়ে রাখতে হলে কুরআনের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে। একজন মানুষ পৃথিবীর সেরা তখনই হতে পারবে যখন কুরআনের আলোকে জীবন গড়তে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, আল কুরআন একমাত্র সঠিক দিকনির্দেশনার অমিয় মহাগ্রন্থ। যার মাধ্যমে ন্যায়-নীতি পার্থক্য সূচিত হয়। মানুষের কাছে কোনটি কল্যাণকর আর কোনটি অকল্যাণকর তা নির্ধারণের মাপকাঠি পবিত্র কুরআন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আল কুরআনেই রয়েছে সবচাইতে বাস্তব ও কার্যকর দিক-নির্দেশিকা। মাহে রমজান সমাগত। মাহে রমজানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্মকে কুরআনের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিটি ঘরে কুরআনের আহবান পৌছে দিতে হবে। শুধু ছাত্রসমাজ নয় প্রতিটি শ্রেণি পেশার মানুষকে কোরআনের আলোকে জীবন গঠনে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতাকর্মীকে বেশি বেশি কুরআন অধ্যায়ন করতে হবে। প্রতিটি জনশক্তিকে কমপক্ষে একটি অর্থসহ কুরআন বিতরণ করতে হবে। কুরআনের আলোকে জীবন গঠন ছাড়া তরুণদের এ ধ্বংস যাত্রা থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ