শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সাতক্ষীরা ॥ নিহত ১ জন

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে কালবৈশাখী ঝড়ে অসংখ্য বাড়ি ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কয়েক মিনেটের ঝড়ে উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দেয়াল চাপা পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধীক বসতবাড়ি। বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে অর্ধশতাধীক মাছের ঘের।
 সোমবার রাত দশটার দিকে মাত্র মিনিট দশেকের এ কালবৈশাখী ঝড়ে গোটা এলাকা ওলট পালট করে দিয়েছে।
নিহত বৃদ্ধার নাম রিজিয়া খাতুন (৬০)। তিনি আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের বকচর গ্রামের বসির আহমেদের স্ত্রী।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফ্র্রা তাসনিন জানান, একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তিনি আরো জানান,এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা নিরুপন করা যায়নি। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, শ্রীউলা, বকচর, লাঙ্গলদাঁড়িয়া, কলিমাখালি, রাধার আঁটি, গাজিপুর , মহিষকুড় ও পুঁইজালা গ্রামের প্রায় দেড় হাজার বাড়িঘর কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় বাঁধ ধসে বেশ কয়েকটি মাছের ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।  

ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ
সাতক্ষীরায় স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অরুণাথ চক্রবর্ত্তী এ আদেশ দেন। ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামীর নাম রফিকুল ইসলাম শিপন ওরফে আলমগীর। তিনি সদর উপজেলার ধুলিহর ব্রক্ষ্মরাজপুর এলাকার অজেদ আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামী শিপন ওরফে আলমগীর ২০০৯ সালের প্রথম দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের হেকমত শেখকে পালিত পিতা বানিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন এবং ওই এলাকায় গাছ ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করেন। এক পর্যায়ে ১৩ সেপ্টেম্বর আসামী শিপন ওরফে আলমগীর একই উপজেলার মুড়াগাছা এলাকায় গাছ ক্রয় করার সুবাদে আকবর আলী মোড়লের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে আকবর আলীর মেয়ে সালমা খাতুন খুকু বাইরে আসলে আসামী শিপন ওরফে আলমগীর তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শিপন ওরফে আলমগীর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরদিন সালমার বাবা আকবর আলী মোড়ল বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় শিপন ওরফে আলমগীরকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় আসামী শিপন ওরফে আলমগীরকে গ্রেফতার করেন এবং তার কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইলটিও উদ্ধার করেন। পরে আসামী জবানবন্দী দেন তিনি নিজে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ মামলায় আসামী  দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন।
মামলার নথি ও ১৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দী দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে বিচারক মঙ্গলবার দুপুরে এ মামলার প্রাধান আসামী রফিকুল ইসলাম শিপন ওরফে আলমগীর পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ