শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ডুমুরিয়ায় জাল সার্টিফিকেট দিয়ে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার অভিযোগ

ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা : ডুমুরিয়ায় জাল জালিয়াত সার্টিফিকেট দিয়ে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে বাদুড়িয়া এস,পি স্বতস্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম মিয়া উলে¬খ করেন ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামের সাজ্জাত উদ্দিন খানের পুত্র মোসলেম উদ্দিন খান গত ২০১২সালের ৮জুলাই বাদুড়িয়া এস,পি স্বতস্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী আলিম পদে শিক্ষকতার জন্য চাকুরীতে যোগদান করেন। কিন্তু তার নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ পত্রাদি জাল। ২০০২সালে নূরানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা হতে আলিম ১ম বিভাগ এর একটি সার্টিফিকেট দেখান যা সম্পূর্ণ জাল সার্টিফিকেট। তার প্রমান স্বরুপ উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আবু সাঈদ সার্টিফিকেটের ফটোকপির অপর পাতায় উলে¬খ করেন মোসলেম উদ্দিন পিতা সাজ্জাত উদ্দিন রোল  নং-১৩২৭১৯,সেশন ২০০০-২০০১,অত্র নুরানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০০২সালে আলিম পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে রির্পোটেড হিসাবে ফল প্রকাশিত হয়। অথ্যাৎ তিনি ফেল করেছেন। অথচ মোসলেম উদ্দিন অত্র মাদ্রাসা হতে পাশ করার সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন। তাছাড়া মোসলেম উদ্দিন কেশবপুর বাহারুল উলুম আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা হতে ২০০৪সালে জাল জালিয়াত সার্টিফিকেট দেখিয়ে বর্তমানে প্রাণ কোম্পানীতে চাকুরীরত আছেন। এ নামে উক্ত মাদ্রাসায় তার কোন পরীক্ষা দেয়া বা ফাজিল পাশের কোন রেকর্ডপত্র নেই। ইতোমধ্যে সহকারী পরিচালক,দাখিল ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা,মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর,ঢাকায় (যার স্বারক নং-৫৭,২৫,০০০০,০০৪,০২,০০৬,১৬-০৪০৮)গত ২০১৭সালের ৪জুলাই তারিখে সমস্ত স্বতস্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের অনুদান দেয়ার জন্য চিঠি প্রদান করে। এই লক্ষ্যে মোসলেম উদ্দিনের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ পত্রাদি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ডুমুরিয়া-খুলনার সন্দেহ করেন। যে কারণে শিক্ষকদের অনুদান প্রাপ্তির জন্য তার নাম বাদ দিয়ে শূন্যপদ দেখায় এবং ঐ অবস্থায় জেলা শ্ক্ষিা অফিস খুলনায় পাঠায়। তবে জমাকৃত নিয়্গো সংক্রান্ত কাগজপত্রে তৎকালীন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সভাপতি সহ যে নামমাত্র নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়। তা শুধু কাগজে কলমে। এর কোন বাস্তবতা নেই। নির্বাহী অফিসার এর সিল স্বাক্ষর জাল করা সহ অন্য সকলের স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছ্। যার স্পষ্ট প্রমাণ সভার কার্য্যবিবরণী বহিতে পাওয়া গেছে। তাছাড়া মোসলেম উদ্দিন যে সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেন সে সার্টিফিকেট গুলো তার নাম ঠিকানা হাতে লেখা। কিন্তু একাধিক সুত্রে জানাযায় হাতে লেখা কোন সার্টিফিকেট বোর্ড কাউকে দেয় না। এ ব্যাপারে নিয়োগ বোর্ডের উপস্থিত দেখানো নুরানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু সাঈদ বলেন অত্র বিদ্যালয়ের কোন নিয়োগ বোর্ডে আমি যায়নি এবং আমি কোন কাগজে সাক্ষর করিনি। যদি আমার উপস্থিতি বা স্বাক্ষর দেখানো হয় তা ভূয়া। এব্যাপারে বাদুড়িয়া এস,পি স্বতস্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজওয়ান উল্লাহর ০১৭৭৭-১৫৯৬৯৬ নম্বরে কল করা হলে প্রথমে কল বাজে কিন্তু তিনি রিসিভ না করে পরে ফোনটি সারাদিন বন্ধ করে রাখেন। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ