শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ইলিশের বাজারে পহেলা বৈশাখের উত্তাপ

স্টাফ রিপোর্টার: পহেলা বৈশাখের উত্তাপে ইলিশের বাজার আকাশচুম্বী। আজকের দিন বাংলা নববর্ষকে উদযাপন করার জন্য অনেকেই ইলিশ মাছ কিনছেন। আর ব্যবসায়ীরাও এ সুযোগে অধিক মুনাফার লোভে আকাশচুম্বী দাম রাখছে ইলিশের। কিন্তু জাটকা রক্ষার জন্য ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। তবুও বৈশাখকে ঘিরে বাজারে ইলিশের সরবরাহ প্রচুর। কিন্তু দাম অনেক। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭শ টাকা থেকে ২৭শ টাকা পর্যন্ত। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইলিশের দাম বাড়ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহে ইলিশের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩শ থেকে ৫শ টাকা বেড়েছে। এদিকে বেশকিছু সবজির দামও বেড়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে অনেকেই ইলিশ কিনছেন। তাই দাম একটু বেশি। তবে বড় ইলিশের তুলনায় ছোট ও মাঝারি ইলিশের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। বড় আকারের দেড়কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২শ থেকে ২৭শ টাকা কেজি আর এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়। ৮০০ গ্রাম ওজনের এক পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়, ৭০০ গ্রাম ওজনের এক পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম ওজনের এক পিস ইলিশ বিক্রি হয় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জাটকাও বিক্রি হচ্ছে অবাধে, যা কেজিপ্রতি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।
রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজার, মালিবাগ বাজার ও কারওয়ান বাজারের ইলিশ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা হিমাগারে সংরক্ষণ করা ইলিশ বিক্রি করছেন। পাশাপাশি নদী থেকে ধরা ইলিশও আসছে প্রচুর, যা বাজারে তাজা মাছ হিসেবে আরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবির দৈনিক বাজার মূল্যতালিকায় সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম বাড়তে দেখা গেছে। সেখানে এক কেজি ইলিশের দাম দেয়া আছে ৭০০ থেকে ১৮শ’ টাকা, যা গত সপ্তাহে দাম ছিল ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর এক মাস আগে এর দাম দেয়া আছে ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেক্ষেত্রে মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৯২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
অপরদিকে সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বাড়ছে। তারা বলছেন, গত এক মাসে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে কোনো কোনো সবজির দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম প্রকারভেদে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। আবার কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজি বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এ ছাড়া পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়, শিম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বেগুন (কালো) ৫৫ টাকা, বেগুন (সাদা) ৬২ টাকা টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা এবং মটরশুঁটি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
বিভিন্ন ধরনের শাকের আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি মূলা শাক মিলছে ১০ ও ১৫ টাকায়, লাল শাক ১৫ ও ২০ টাকায়। আমদানি করা মসুরের ডাল কেজি প্রতি ১০০ টাকা এবং দেশি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ১৬০-২৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০-৩৫০ টাকা, কাতলা ১৮০-২৯০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০, শিং ৩০০-৪০০, সিলভার কার্প ২০০-২৫০, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০, পাঙ্গাস ১৫০-২৫০, টেংরা ৬০০, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা ও প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে গোশতের বাজারে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি। প্রতি কেজি গরুর গোশত ৫০০-৫২০ টাকা, খাসির গোশত ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ২৪০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি প্রতি পিস আকারভেদে ১৫০ থেকে ২২০ টাকা ও পাকিস্তানী মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ