শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কোটা পদ্ধতি সংস্কারে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা

সংগ্রাম ডেস্ক : মন্ত্রিসভার গতকাল সোমবারের সাপ্তাহিক বৈঠকে সিভিল সার্ভিসে বর্তমান কোটা পদ্ধতি নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে এবং এতে বলা হয়েছে যেহেতু বিদ্যমান ব্যবস্থায় কখনোই মেধাকে অগ্রাহ্য করা হয়নি ফলে এই ব্যবস্থা মেধাবী প্রার্থীরা খুব কমই বঞ্চিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) মন্ত্রিসভার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো শফিউল আলম বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হলো মূল স্টেকহোল্ডার। তারা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মেধা তালিকা থেকে বিভিন্ন কোটার শূন্যপদ পূরণের জন্য মন্ত্রিসভা বর্তমান সরকারের পুন পরীক্ষণ পদ্ধতির পাশাপাশি বিগত তিনটি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার নিয়োগ পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে।

বর্তমান নিয়মে সিভিল সার্ভিসের ৪৫ শতাংশ পদ মেধাবী প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য, ১০ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ১০ শতাংশ জেলা (কিছু ক্ষেত্রে) এবং এক শতাংশ দৈহিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের (কিছু ক্ষেত্রে) জন্য সংরক্ষিত।

তিনি বলেন, এদিকে ৩৩তম বিসিএস-এ প্রায় ৭৭ দশমিক ৪০ শতাংশ পদ মেধা কোটা থেকে পূরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৫তম ও ৩৬তম বিসিএস থেকে যথাক্রমে ৬৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও ৭০ দশমিক ৩৮ শতাংশ পদ পূরণ করা হয়েছে মেধা তালিকা থেকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বস্তুত কোটা পদ্ধতি মেধাবীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা তৈরি করেনি।’

তিনি আরো বলেন, তালিকার শীর্ষে থাকা সবচেয়ে মেধাবী প্রার্থীদের থেকেই সকল কোটা পূর্ণ করা হয়। জেলা কোটার ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি প্রযোজ্য।

শফিউল আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধার যোগ্য সন্তানদের সংখ্যা স্বল্পতার কারণে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সকল পদ পূরণ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে মেধা তালিকা থেকে ওই পদগুলো পূরণ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ কেবল মেধার ভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ হলে জনপ্রশাসনে বহু জেলার প্রতিনিধিত্ব অনেক কমে যাবে এবং নারীর ক্ষমতায়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সকল সন্তান নয় বরং যারা প্রতিযোগিতায় তাদের মেধা প্রদর্শন করতে পারছে কেবল তারাই বিসিএস-এ সুযোগ পাচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রশ্নে বলেন, ইতোমধ্যে যে সংস্কার করা হয়েছে তা সংরক্ষিত পদে মেধাবী প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিরাট সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ