শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বিজেপি বিরোধী জোটকে কুকুর-বিড়ালের সঙ্গে তুলনা করায় অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড়

 ৭ এপ্রিল, পার্সটুডে : ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বিজেপিবিরোধী জোটকে কুকুর-বিড়ালের সঙ্গে তুলনা করায় তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।

গত শুক্রবার মহারাষ্ট্রের মুম্বাইতে অমিত শাহ বলেন,  ‘বন্যার সময় কুকুর, বিড়াল, সাপ, বেজি যেভাবে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য একজোট হয়ে লড়াই করে, তেমনই আজ বিরোধীরা জোট বাঁধার চেষ্টা করছে।’ 

অমিত শাহের দাবি, মোদি  বন্যায় ভেসে গেছে বিরোধীরা। সেজন্য এভাবে শেষরক্ষার চেষ্টা। কিন্তু ওই জোট গড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হবে। বিজেপি’র ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে অমিত শাহ এরকম মন্তব্য করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হওয়াসহ বিরোধীদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।

কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা  বলেন, ‘বন্যা প্রলয় ঘটায় সব কিছু ধ্বংস করে। মোদি-শাহ জুটিও দেশের কৃষক,   বেকার যুবক, দলিত-আদিবাসী, দোকানদার, উদ্যোগপতিদের বরবাদ করে দিয়েছে।’

পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা  ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক বিরোধী বটে। ক্ষমতাসীন জাতীয় দলের সভাপতির কাছ থেকে এটাই কি আমরা আশা করি! ন্যূনতম সৌজন্যতাটুকুও নেই!’

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আসলে ওঁরা ইতিহাস পড়েন না। ২০১৯ সালে বিজেপি  ‘ফিনিশ’ হয়ে যাবে।  

কংগ্রেসের নেতা আনন্দ শর্মা বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষ দলগুলোর মধ্যে এতকাল একটা সম্মানজনক ভাবে আক্রমণ প্রতি  আক্রমণের প্রথা ছিল। নরেন্দ্র মোদি , অমিত শাহ এবং বিজেপি সেই পরিশীলিত পরিবেশ ধ্বংস করেছেন। বিজেপি অত্যন্ত নিম্নমানের শব্দ ও বাক্য প্রয়োগ করে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তাদের প্রকৃত রাজনৈতিক সংস্কৃতির শিক্ষা কেমন !’

এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার বলেছেন, ‘অমিত শাহ ওই মন্তব্য  করে আসলে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তারা কতটা ভয় পেয়েছেন। বিরোধীরা জোট বাঁধার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার মতো মনোবল আর বিজেপির নেই। তাই এভাবে বিরোধীদের সম্পর্কে কুবাক্য ব্যবহার করতে হচ্ছে  দলীয় সভাপতিকেই।’

বিরোধীদের তুমুল সমালোচনার মুখে শেষমেশ অমিত শাহ তার সাফাইতে বলেন, ‘কোনও প্রাণীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের তুলনা করতে চাইনি। আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলাম, মোদির ভয়ে এমন সব দল জোট বাঁধছে, যাদের মধ্যে আদর্শগত কোনও মিলই নেই। যেমন, সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি, তৃণমূল ও কংগ্রেস, চন্দ্রবাবু নাইডু ও কংগ্রেস।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ