ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

ভবন ভাঙতে এক বছরের সময় পেল বিজিএমইএ

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: হাতিরঝিলে গড়ে তোলা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙতে এক বছরের সময় দিয়েছেন আদালত।

বিজিএমইএ শেষবারের মতো সময় নেয়ার শর্তে মুচলেকা দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনে নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার সকালে এ আদেশ দেন।

বিজিএমইএ'র আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম বলেন, ভবন ভাঙার জন্য ২০১৯ সালে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে গত বুধবার বিজিএমইএ বহুতল ভবন ভাঙতে শেষ সময় চাওয়ার শর্ত সংক্রান্ত মুচলেকা সংশোধন করে আদালতে জমার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসাথে এ বিষয়ে আদেশের জন্যে আজকের দিন ধার্য করেন।

গত মঙ্গলবার আদালত বিজিএমইএ'র ভবন ভাঙতে বারবার সময় না চাওয়ার শর্তে একটি মুচলেকা দিতে বলেন।

সে অনুযায়ী বুধবার মুচলেকা দাখিল করেন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের আইনজীবী। কিন্তু মুচলেকাটি অসম্পূর্ণ হওয়ায় আদালত সেটি সংশোধন করে আরো দু-একটি লাইন যোগ করে জমা দিতে বলেন।

পরে সংশোধিত মুচলেকা দাখিল করায় সোমবার বিজিএমইএকে আরো এক বছরের শেষ সময় দিল আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেয়া হয়। 'হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবন একটি ক্যানসারের মত' উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল ২০১৬ সালের ২ জুন খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, 'বেগুনবাড়ি খাল' ও 'হাতিরঝিল' জলাভূমিতে অবস্থিত 'বিজিএমইএ কমপ্লেক্স' নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

এতে ব্যর্থ হলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হলো।

এ ক্ষেত্রে ভবন ভাঙার খরচ আবেদনকারীর (বিজিএমইএ) কাছ থেকে আদায় করবে তারা।

এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ রিভিউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তাও গত বছরের ৫ মার্চ খারিজ করেন আপিল বিভাগ।

পরে গত বছরের ৮ অক্টোবর শেষ বারের মতো উল্লেখ করে আপিল বিভাগ এই পোশাক রপ্তানিকারক সমিতিকে সাত মাস সময় দিয়েছিল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ