বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

স্বৈরাচারী তকমা যে কারণে

জিবলু রহমান : [ছয়
তাই এটি সুস্পষ্ট যে আগামী নির্বাচনে বেগম জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কি না, তা মূলত নির্ভর করবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর। তবে হাইকোর্ট তাঁর দ- স্থগিত করলে কমিশনের পক্ষে তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণা করা দুরূহ হবে। আর বিশেষ বিবেচনায় দ- স্থগিত করে কোনো ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের সুযোগ দেয়া গেলে খালেদা জিয়া সেই সুযোগ পাবেন না কেন? তাই দ-ের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে বেগম জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারার কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না......।’ (সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)
দাবি আদায়ে বড় আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। এই আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দীর্ঘসূত্রতার আবর্তে পড়ার পরে দলের সিনিয়র নেতারা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। নেতারা বলছেন, রাজপথ ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। সরকারের সাথে সমঝোতার পথ সুদূর পরাহত। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে দাবি আদায় হবেনা। কঠোর এবং অল আউট আন্দোলনই সমাধান।
হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, বড় আন্দোলনের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য তৃণমূল নেতাদের উজ্জীবিত করতে হবে। সেই সাথে মাঠ পর্যায়ে সভা-সমাবেশ-ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যমে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রার্থী সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করতে হবে। ১০ এপ্রিলের মধ্যে সফর শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বিএনপি মহাসচিবকে সংশ্লিষ্ট এলাকার রিপোর্ট দেবেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, কৌশলগত কারণে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে বিএনপি। খুব বেশিদিন এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে থাকতে পারবে না বিএনপি। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন চাচ্ছে দলের সর্বস্তরের কর্মী-সমর্থক-নেতারা। তিনি বলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট দেশের উচ্চতর আদালত, আমরা পছন্দ করি অথবা না করি তাদের রায় আমাদের মেনে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তার সাথে সাথে আমরা কতদিন আর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো? একটা পর্যায় আসছে দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আর চাইবে না। তখন বাধ্য হয়ে আমাদেরকে তাদের সাথে থাকতে হবে। তাই আমাদের বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি এখনি নিতে হবে।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে দুর্বল ভাবছে। মিথ্যা মামলায় আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে। তার জামিন নিয়ে নাটক করছে। আদালতও এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। নেতা-কর্মীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন কঠোর আন্দোলনে এই সরকারের বিদায় ঘটানো হবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। উপযুক্ত সময়ে শুরু হবে সর্বব্যাপী আন্দোলন।
১৫ মার্চ ২০১৮ কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নূর আহমদ সড়কে দলীয় কার্যলয়ের সামনে চট্টগ্রাম মহনগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বৃটিশ, পাকিস্তান ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেছিল বীর চট্টলার জনগণ। দেশ বর্তমানে মহাসংকটে ও বিপদে। আমার মাকে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আমার ভাইকে গুম করা হয়েছে ও খুন করা হয়েছে। দেশের মানুষের সমস্ত অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ করেছে সরকার। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে আইন করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার মামলার ফরম্যাট করে রেখেছে। যখন যাকে খুশি তাকে ওই ফরম্যাটে ফেলে জেল-জুলুম করছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলা হয়েছে। এতে ১১ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট চেয়ে জনসভা করছে। আর আমাদের সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না। এক দেশে দুই আইন চলছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন আন্দোলন শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নয়, সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্র, দেশ রক্ষা ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবই। কারাগারে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মনোবল হারাননি। তিনি আগের চেয়ে আরও তেজস্বী রয়েছেন। ফলে আমাদের সকলকে আরও ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ সরকার বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের মুখে পদত্যাগ ও বিদেশ যেতে বাধ্য করেছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী- নেতারা পুকুর চুরি করছে। ব্যাংক লুট করা হচ্ছে। সরকার শুধু বাগাড়ম্বর করছে।
মিডিয়ার সামনে মিথ্যাকে সত্য আর সত্যকে মিথ্যা বলছে। সরকার ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলেছিল। এখন চালের দাম ৬০-৭০ টাকা। পেট্রল ডিজেল গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যতরকম অপরাধ আছে তা তারা করছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, মা আজকে অস্থির কখন তার ছেলেকে তুলে নেয়, স্ত্রী অস্থির হয়ে থাকে কখন স্বামীকে তুলে নেয়, বোন অস্থির হয়ে থাকে কখন তার ভাইকে তুলে নিয়ে যাবে। এটা একদিন দুই দিনের নয়। গত কয়েকবছর ধরে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। বেআইনিভাবে জাকির হোসেন মিলনকে গ্রেফতার পুলিশের হেফাজতে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই সরকার দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকারবিরোধী কাজ করছে। নির্যাতন-নিপীড়ন করে সরকার বিরোধী দলকে দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাইছে। দলের নেতা জাকির হোসেন মিলন পুলিশ নির্যাতন করে শহীদ করেছে। তার মতো আরও অনেক নেতাই নির্যাতনের শিকার হয়ে শহীদ হয়েছে। জাকির হোসেনের বাবা নেই। আজ তার পরিবার অসহায় অবস্থায় আছে। তার স্ত্রী, দুই বাচ্চা, তার মা এক করুণ অবস্থার মধ্যে বেঁচে আছে। এ রকম শত শত হাজার হাজার পরিবার আছে বাংলাদেশে।
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কেন জনগণের প্রতিপক্ষ হচ্ছেন? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে বাইরে রেখে নির্বাচন করার সাহস করবেন না। কারাগারের জরাজীর্ণ কক্ষে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে। তাকে ন্যূনতম আইনি অধিকার দেয়া হয়নি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, আপনাদের কাছে বারবার এই আবেদন জানাতে চাই। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি বিশ্বাস রাখুন। আজ দেশের এই সংকটে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি নেতারা ঐক্যব্ধ, সবাই এক হয়ে, এক কাতারে দাঁড়িয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছে। আপনাদের কাছে যাচ্ছে, জনগণের কাছে যাচ্ছে। এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
বিএনপির ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা শাখা সফরের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে ৩৭টি টিম গঠন করা হয়েছে। গত চার মাসে তৃণমূলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এটি তৃতীয় সফর। এর আগে গত ডিসেম্বরে প্রথম দফায় ও ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় তৃণমূল সফর করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এবারের সফর খুব গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাস শুরুর আগে এই সফরে আন্দোলনের প্রস্তুতিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী সম্পর্কে ধারণা
টিমের দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন-খুলনা জেলা ও মহানগরে মেজর অব.হাফিজউদ্দিন আহমেদ, বরগুনা ও ঝালকাঠিতে মজিবুর রহমান সরোয়ার, ভোলায় শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বরিশাল জেলা ও মহানগরে মির্জা আব্বাস এবং পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে খায়রুল কবীর খোকন, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটে আবদুস সালাম, সৈয়দপুর ও নীলফামারীতে মিজানুর রহমান মিনু, দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে আবুল খায়ের ভূঁইয়া, রংপুর জেলা ও মহানগরে হারুন অর রশিদ, গাইবান্ধায় হাবিবুর ইসলাম হাবিব, জয়পুরহাটে মীর সরাফত আলী সফু, বগুড়া ও পাবনায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নওগাঁয় হেলালুজ্জামান লালু, রাজশাহী জেলা ও মহানগর নজরুল ইসলাম খান, নাটোর ও সিরাজগঞ্জে এজেডএম জাহিদ হোসেন, কক্সবাজার ও বান্দরবানে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও মানিকগঞ্জে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সিলেট জেলা ও মহানগর মোহাম্মদ শাহজাহান, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরে গোলাম আকবর খোন্দকার, কুমিল্লা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামালপুরে মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, শেরপুর ও নেত্রকোনায় আহমদ আযম খান, ময়মনসিংহ উত্তর, দক্ষিণ ও নোয়াখালীতে ড. আবদুল মঈন খান, লক্ষ্মীপুর ও কিশোরগঞ্জে অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নরসিংদী ও টাঙ্গাইল মনিরুল হক চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বরকতউল্লাহ বুলু, রাজবাড়ী ও ফরিদপুরে ফজলুর রহমান, গোপালগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকার, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সুনামগঞ্জে শওকত মাহমুদ, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরে জয়নুল আবদীন ফারুক, চুয়াডাঙ্গায় আতাউর রহমান ঢালী, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা নিতাই রায় চৌধুরী এবং মাগুড়া ও নড়াইল হাবিবুর রহমান হাবিব। (সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক ২২ মার্চ ২০১৮)
আপাতত গুমোটভাব জনগণের কোনো কথাবার্তা নেই এটাকে সরকার স্থিতিশীলতা মনে করছে। সামনে রাজনৈতিক ঝড় আসার পূর্বাভাস আসছে কিন্তু তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে না সরকার। বর্তমানে যে ধুসর অবস্থাকে সরকার স্বাভাবিক মনে করছে। কিন্তু ঝড় উঠলে তারা (আওয়ামী লীগ) হজম করতে পারবে না।
যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারকে বাধ্য করা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত সরকারের অনড় অবস্থানের পরিবর্তন হবে না। সরকার বুঝে গেছে রক্তের উপর তারা টিকে থাকবে। তাহলে দেশে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিকতা কি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে? কাউকে কি কখনও কোনও কিছুর দায় নিতে বা জবাবদিহি করতে হবে না? সর্বস্তরে স্বেচ্ছাচারিতার বদলে আইনের শাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক রীতিনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হোক। আইনের প্রয়োগ, তদন্ত ও বিচারিক ক্ষেত্রে নৈরাজ্যের অবসান ঘটিয়ে শৃঙ্খলা ও নিয়ম-নীতি ফিরিয়ে আনা হোক।
দৃশ্যমান অনেক উন্নয়নের মধ্যেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে কিছুটা হলেও অস্বস্তি বোধ করে বর্তমান সরকার। সেজন্য সরকারের হাইকমান্ড চাচ্ছে আগামীতে যেন এই অস্বস্তি না থাকে। সেলক্ষ্যেই ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে গিয়ে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতির স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টরাও চান, সবার অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। একইসঙ্গে নির্বাচন ও সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিকে রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার উপরও নতুন করে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
সামগ্রিক চিত্র পর্যালোচনা করে বিএনপি এখন আগামী নির্বাচনকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য ভেতরে-ভেতরে প্রস্তুতিও নিতে যাচ্ছে দলটি। এর আগে বিএনপি গুরুত্ব দেবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে। দলনিরপেক্ষ কমিশন গঠনে সরকারের উপর দেশি-বিদেশি চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করবে দলটি।
সংলাপের কোন বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সংলাপই সঙ্কটের সুরাহার একমাত্র উপায়। কিন্তু সংলাপ যদি না হয় তাহলে কি হবে? কোন কিছুই থেমে থাকে না। এমন সময় আসবে জনগণ কোন একটি শক্তি দ্বারা সুসংগঠিত হয়ে রুগ্ন রাজনীতিকে বিদায় করবে। যাকে আমরা বলে থাকি তৃতীয় বা বিকল্প শক্তি তার উত্থান হতে পারে। রাজনীতিবিদরা যদি সঙ্কটের সুরাহা না করেন তবে কোন না কোনভাবে জনগণই এ সঙ্কটের সুরাহা করবে। কোন না কোন উপায়ে সঙ্কটের সুরাহা হবে। [সমাপ্ত]
[email protected]

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ