শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রূপগঞ্জে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ॥ নারীসহ আহত ৮

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথক স্থানে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় নারীসহ আট জন আহত হন।
পৃথক ঘটনায় মধ্যে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘর ভাংচুরসহ একই পরিবারের নারীসহ ছয় জনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আহত মোস্তফা মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ২২ মার্চ দুপুরে উপজেলার মাঝিনা সুতিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  এছাড়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর চালিয়ে দুই নারীকে কুপিয়ে জখম ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাসুন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মাঝিনা সুতিরপাড় এলাকার আহত মোস্তফা মিয়া জানান, প্রতিবেশী মনির হোসেনের সঙ্গে মোস্তফা মিয়ার দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই ২২ মার্চ দুপুরে প্রতিপক্ষ মনির হোসেন, নবী, আয়ত আলী, লিয়াকত আলী, আলাউদ্দিন খাজা, রুহুল আমিন, সাইফুল্, শফিকুল, শামীম, ইয়ামিন, সজীব, সুমন, মোশারফ, মাসিদুল, আজিজুল আমি হোসেন, শাহাদাতসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। মোস্তফা মিয়া গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করেন।
মোস্তফা মিয়ার ডাক-চিৎকারে স্ত্রী হালিমা, বোন নূর জাহান, ভাই ইকবাল, ভাবি নাছিমা বেগম, চাচাতো ভাই তরিকুল ইসলাম বাঁচাতে এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে আহত করেন। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘরে ভাংচুর চালিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন।
তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনায় মোস্তফা মিয়া বাদী রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাসুন্দা এলাকার আহত আম্বিয়া বেগমের ছেলে ফারুক মিয়া জানান, একই এলাকার রবিন ও মহাসিনের সঙ্গে তার বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে প্রতিপক্ষ রবিন, মহাসিন, মাসুম, মামুন, পনির, ইমন, সুমনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফারুক মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর শুরু করেন। ফারুকের মা আম্বিয়া বেগম ও চাচি রহিমা বেগম ভাংচুরে বাঁধা প্রদান করায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আম্বিয়া বেগম ও রহিমা বেগমকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন,  পৃথক ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ