বরিশাল নগর জামায়াতের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
বরিশাল অফিস : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগরীর উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা জাতীয় দিবস পালন করে। মহানগরী জামায়াতের সকল সাংগঠনিক থানা এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বরিশাল মহানগর জামায়াতের কোতয়ালী থানার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপষিদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমীর এ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল। উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি জহির উদ্দিন মুহাঃ বাবর, সহকারী সেক্রেটারি মাওঃ মতিউর রহমান ও জামায়াত নেতা মোঃ শামীম কবির।
এদিকে কাউনিয়া থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন থানা আমীর আবু আব্দুল্লাহ। এসময় উস্থিত ছিলেন, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও মাওঃ হারুনুর রশিদসহ নেতৃবৃন্দ। বিমানবন্দর থানা জামায়াতের আমীর মোঃ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন থানা জামায়াতের সেক্রেটারি শফিউল্লাহ তালুকদার ও মোঃ মাহবুবুর রহমান। আলেকান্দা সাংগঠনিক থানার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন থানা জামায়াতের আমীর মোঃ নাসির উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, থানা সেক্রেটারি মোঃ আবদুর রউফ, মোঃ কাওছার হোসেন ও মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এদিকে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক কল্যাণ বরিশাল মহানগর সভাপতি এ্যাড. মুহাঃ শাহে আলম। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি জহির উদ্দিন মুহাঃ বাবর। উপস্থিত ছিলেন মহানগর শ্রমিক কল্যাণের সহ-সভাপতি শাহজাহান সিরাজী ও মোঃ আবদুর রহীম।
এদিকে কোতয়ালী খানা জামায়াতের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাড. মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও জাতি তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশে গণতন্ত্রের নামে সৈরাতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র চলছে। দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে বর্তমান শাসক গেষ্ঠি স্বাধীনতার চেতনা বলে জাতিকে ধোকা দিচ্ছে। আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বাংলাদেশ পৃথীবীর অন্যতম সৈরতান্ত্রিক দেশ এবং এর প্রধান শেখ হাসিনা সৈরশাসকের উপাধি অর্জন করেছে যা আমাদের জন্য শুধু লজ্জাই নয় বরং অপমানের। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংশ করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জাতির সাথে তামাশা করছে। স্বাধীনতার চেতনার নামে আজ যারা চিৎকার দিচ্ছে তাদের হাতেই দেশ পরাধীন হতে চলছে। জাতির সাথে এই ধোঁকাবাজির জন্য একদিন বর্তমান শাসক গোষ্ঠিকে চরম মূল্য দিতে হবে। আমরা দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা ও জনগণের স্বাধীকার চাই, কোন দেশের পদলেহী হয়ে দেশে গণতন্ত্রে নামে সৈরাতন্ত্র আর স্বাধীনতার নামে প্রকারান্তরে পরাধীনতা চাইনা। তাই রক্তের বিনিময় অর্জিত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বর্তমান জুলুমবাজ ও বিদেশী পদলেহী সৈরশাসকের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তানা হলে দেশের অর্জিত স্বাধীনতা আবার পরাধীনতায় পরিণত হওয়ার আশংকা রয়েছে।