শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

স্বাধীনতা সেতো কাক্সিক্ষত চাওয়া পরম পাওয়া!

পাশের বাড়িতে একটা খাঁচায় ছোট্ট একজোড়া লাভ বার্ড পাখি। পাখিগুলোর কিচিরমিচির ডাক বড়ই ভালো লাগে। অবশ্য তাদের ভাষা তো  আমি বুঝিনা, এই কিচিরমিচির ডাকে কি আনন্দ বা ব্যাথা প্রকাশ করতে চাচ্ছে ওরা। খাঁচার দরোজাটা খুলে দিলেই তার কিছুটা বহিঃপ্রকাশ ঘটত।
আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আল্হামদুলিল্লাহ্! এই কথাটা মুখ দিয়ে উচ্চারণ এ যে কত শান্তি পাচ্ছি। আমরা ভুলিনি আমাদের পেছনের কথা, ভুলিনি আমাদের ইতিহাস। ভুলিনি যখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে, চাকরির ক্ষেত্রে, শিক্ষার ক্ষেত্রে এমনকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না আমাদের!  ছিল না নিজেদের কোন বিশেষত্ব।
মানুষের বৈশিষ্ট্যই এই যে, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সম্মুখে অগ্রসর হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। বস্তুত, আন্দোলন, সংগ্রাম ছাড়া লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব।  নিজেদের অধিকার আদায়ে  আমরা একাত্তর এ যেভাবে সংঘবদ্ধ হয়েছি,  ভবিষ্যৎ এও নিজেদের স্বাধীনতা আদায়ে সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা দেবে একাত্তরের এই  স্বাধীনতা আন্দোলন।
একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের  অবস্থান, UNESCO, SAARK, OIC সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় বাংলাদেশের রয়েছে একটি অবস্থান। তা সত্যি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। মানুষের মৌলিক অধিকার যেখানেই লঙ্ঘিত হবে,  সেখানেই পরাধীনতার ছায়া পড়বে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এছাড়া আছে  ধর্মীয় স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, থাকতে হবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে সত্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার স্বাধীনতা।
স্বাধীনতাকে অনেকেই অনেক ভাবেই সংজ্ঞায়িত করতে পারে। মানুষ যেহুতু সামাজিব জীব, তাই নিজের সমস্ত ইচ্ছা,কামনা, বাসনা বাস্তবায়নের অধিকারের স্বাধীনতাকে কোন সভ্য সমাজ মেনে নেবে না। তাই স্বাধীনতা হতে পারে জীবের নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যের আলোকে। তাই পশু -পাখির স্বাধীনতা আর মানুষের স্বাধীনতার স্বরূপ এ পার্থক্য আছে। স্বাধীনতা প্রতিটি জীব স্বত্তার পরম চাওয়া।
তাই, এই অতি কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জনের পর এর বৈশিষ্ট্য,স্বকীয়তা, নিজস্বতা টিকিয়ে রাখার মাধ্যমেই আমরা স্বাধীনতার মূল সুফল লাভ করতে পারব। এবং বিশ্বের দরবারে আমাদের স্বদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি,সংস্কৃতি সহ  প্রতিটি দিকের নৈতিক অবস্থান উন্নত,পরিচ্ছন্ন রাখার অংগীকার হোক এবারের স্বাধীনতা দিবসের মূল স্লোগান। [email protected]

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ