শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ভুয়া দলিলের মাধ্যমে জমি দখলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে

খুলনা অফিস: খুলনা মহানগরীর বড় বয়রা এলাকার জালিয়াতি গফফারের ছেলে ও হাতেম পরিবারের হত্যা মামলার ১২ বছরের সাজাখাটা আসামি সৈয়দ কবিরুজ্জামান ভুয়া দলিলের মাধ্যমে জমি দখলের পায়তারা করছে। ডুমুরিয়া আড়ংঘাটা এলাকার ৪০ জন নিরীহ জমির মালিককে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া গত ১৭ মার্চ খুলনা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দাবি এবং আমাদেরকে মাদক ব্যবসায়ী ও জামায়াত-শিবিরের লোক বলে মিথ্যাচার করেন। গতকাল মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেন আড়ংঘাটা এলাকার ৪০ জন জমির মালিক।
তাদের পক্ষে আজগর হোসেন বিশ্বাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- খুলনার ডুমুরিয়ায় মৌজা বিল পাবলার মধ্যে এস এ ১৪২২ নং খতিয়ানে ৮১০৮ নং দাগে পাঁচ দশমিক ৮৯ একর বিলান জমির জমায় নকুল চন্দ্র নন্দী এক অংশে রেকর্ডীয় মালিক থাকেন। তিনি ওই জমিতে স্বত্ববান ও দখলে থাকাকালীন ২৪/০২/৬৫ ইং তারিখে সাধারণ আমমোক্তার নামা দলিল, ২৮/০২/৬৫ইং তারিখে এস এ দলিলে ঘোষণা এবং ৩১/০৫/৬৭ইং তারিখে বিনিময় দলিল মুল নালিশী তফসিল জমিসহ ৫দশমিক ৮৯ একর জমি গওছার আযম বৈদ্য এর বরাবর হস্তান্তর করে দখল প্রদান করেন। এরপর গওছার আযম বৈদ্য জেলা প্রশাসক, খুলনার বরাবরে ৩০০/৬৯-৭০ নং বিনিময় মোকাদ্দমা দায়ের করেন। ফলে জেলা প্রশাসক তদন্ত ও অনুসন্ধান করে সত্যতা পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ১২/০৪/৯৪ইং তারিখে হস্তান্তর দলিল সহি সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করে দেন। পরবর্তীতে গওছার আযম বৈদ্য পর্যায়ক্রমে মোঃ সেলিম শেখ, মিজানুর রহমান, মঈনুর রহমান মঈন, আজমির হোসেন, আজগর হোসেন, আজিজুর রহমান, আশরাফুল ইসলামসহ অন্যান্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। ওই জমির ৪০ জন মালিক সেখানে ঘর-বাড়ী তৈরী করে ২০ বছর ধরে বসবাস করছে। এসব মালিকদের নামে বিদ্যুতের মিটারসহ ২০১০ সাল পর্যন্ত সকল খাজনাদি পরিশোধ রয়েছে। অথচ প্রতারক ও সন্ত্রাসী সৈয়দ কবিরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বলা হয়-সৈয়দ কবিরুজ্জামানের পিতা সৈয়দ আব্দুল গফ্ফার বেচেঁ থাকা কালে এলাকায় জালিয়াতি গফ্ফার নামে পরিচিত ছিলেন। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া দলিল করে অন্যের জমি দখল করা ছিলো তার পেশা। আমাদের জমিও জাল-জলিয়াতির মাধ্যমে দখল করার চেষ্টা করেছিলো। এখন তার সন্তানেরা চেষ্টা চালাচ্ছে। জালিয়াতি গফ্ফারের আত্মীয় আব্বাস হোসেন ও মৃত আলী গংরা প্রকৃত জমির মালিকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। জালিয়াতি গফ্ফারের ছেলেরা বড় বয়রা এলাকার হাতেম  পরিবার হত্যা জড়িত বলে দাবি করে এবং বলে দুই একটা লাশ ফেলে দিলে জমি দখল হয়ে যাবে। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। তারা ভূয়া, জালিয়াতির দলিল নিয়ে থানা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও পাত্তা পায়নি। কারণ-প্রশাসনের সর্বস্তরে তাদের জাল-জালিয়াতির কথা জানে।  আর আমরা যে ৪০জন মালিক পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছি তারা সকলেই শিক্ষিত এবং নানা পেশার সাথে জড়িত। এখানে কেউ মাদক ব্যবসা করে না।
এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে সৈয়দ কবিরুজ্জামান তার বক্তব্যে যুগ্ম জেলা জজ ৪র্থ আদালতে যে মামলার কথা বলেছেন সেটিও মিথ্যা। ওই আদালতে কোন মামলা নেই। বরং সহকারী জজ আদালত ডুমুরিয়ায় একটি মামলা আছে, যেটি মিথ্যা ও হয়রানীমূলক।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ