শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বিএনপি’র সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন আ’লীগের গাত্রদাহের কারণ

খুলনা অফিস : বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আশা করেছিল-বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রাখলেই দেশের তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করার কেউ থাকবে না। বিএনপিও নিঃশেষ হয়ে যাবে। কিন্তু না অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বিএনপি এখন আরোও বেশি শক্তিশালী ও সুদৃঢ় ঐক্যবদ্ধ। কারারুদ্ধের পূর্বে ও কারারুদ্ধ অবস্থায় ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুশৃঙ্খলভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন। সে মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেকর রহমানও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পক্ষে। কেন্দ্রীয় নির্দেশে তাই বিএনপি সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে; আর এটাই আ’লীগের গাত্রদহের মূল কারণ। সে জন্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির বিষয়ে ভঙ্গিতা করছে সরকার। ওরা যদি মনে করে- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ রেখে সাজানো-পাতানো নির্বাচন দিয়ে পুনরায় ক্ষমতা দখল করা সহজ হবে; তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি চেয়ারপার্সসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাভ্যন্তরে রেখে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার ব্যতীত বিএনপি কোন সাজানো-পাতানো নির্বাচনে যাবে না, যাবে না...! আর তেমন প্রহসনের নির্বাচনে বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেয়া হবে না। ক্ষমতাসীনরা সেটা বুঝে গেছেন- সে জন্যই পুলিশ দিয়ে বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করছে, দেশব্যাপী বিরোধী দল-মতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-নির্যাতন, খুন-গুম করছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ধ্বংসের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কাঠামোগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে।’  গতকাল রোববার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন মিলনকে রিমান্ডে নির্মম পুলিশ নির্যাতনে হত্যা এবং দেশব্যাপী পুলিশী অত্যাচারের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমগ্র দেশ পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, শোনা যাচ্ছে পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতাদেরও হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ ক্ষমতাসীনদের নাকি বলছেন- আপনাদের আমরাই্ ক্ষমতায় এনেছি। আমরাই (পুলিশ) আপনাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছি। কতটা অকার্যকর সরকার ও সরকারি দলের নেতাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা এমন কথা বলতে পারে? পুলিশ এখন লাগামহীন হয়ে গেছে। বাংলাদেশটা পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীনরা ও পুলিশ উসকানি দিচ্ছে। কিন্তু শহীদ জিয়ার সৈনিকের কোনভাবে বিভ্রান্ত হবে না। দেশব্যাপী পুলিশী অত্যাচারের উপরভর করে ক্ষমতার মসনদে টিকে আছে আওয়ামী লীগ। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম কামালকে আটক করে কেএমপি’র উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার সামনে খুলনা থানায় নিয়ে নির্দয়ভাবে মারপিট করেছে পুলিশ। নির্যাতনের পর এসএম কামাল হাঁটতেও পারেনি। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের সভাপতি জাকির হোসেন মিলনকে আটক করে হাতে-পায়ের বিশটি আঙ্গুলের একটিতেও নখ নেই। নির্মম নির্যাতনে পুলিশ হত্যা করেছে তাকে। আইজিপি এই নির্মম হত্যাকান্ড সম্পর্কে নির্লজ্জ অসত্য কথা বলেছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বুক থেকে টেনে-হিছড়ে রাজুকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকী পুলিশ। খুলনা থানাসহ মহানগর ও জেলায় পুলিশ সর্বকালের সকল হিং¯্রতার রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ডুমুরিয়া থেকে জেলা বিএনপি’র ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষক নজরুল ইসলাম মোড়লকে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। আমরা তার জীবন নিয়ে চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছি। অবিলম্বে নজরুল ইসলাম মোড়লকে অক্ষত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেবার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, আব্দুল জলিল খান কালাম, খায়রুজ্জামান খোকা, রেহেনা ঈসা, স ম আব্দুর রহমান, এডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, মো. ইকবাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম মেঝোভাই, শেখ জাহিদুল ইসলাম, ফকরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ