চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বিশেষ অভিযান
চট্টগ্রাম অফিস: চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন সাহেরখালী গজারিয়া এলাকা হতে কোতোয়ালী থানার নিয়মিত মামলার সূত্র ধরে ডিবি পুলিশের ভূয়া এসি পরিচয় প্রদানকারী প্রতারককে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।গ্রেফতারকৃত ব্যকিত্ মোঃ ফিরোজ আলম চৌধুরী @ আলম সাহেব (৬০), পিতা-মৃত গোলাম সামদানী, সাং-বড় বাড়ি, গজারিয়া, সাহেরখালী, থানা-মিরসরাই, জেলা-চট্টগ্রাম।
ডিবি পুলিশ সূত্রে খবর ,১০ মার্চ সন্ধ্যা ৬.১৫ টার সময় মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) এ এ এম হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে পুলিশ সিএমপি’র কোতোয়ালী থানার নিয়মিত মামলার সূত্র ধরে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন সাহেরখালী গজারিয়া এলাকা হতে ডিবি পুলিশের ভূয়া এসি পরিচয় প্রদানকারী প্রতারককে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত ফিরোজ আলম চৌধুরী নিজেকে ডিবি পুলিশের এসি এবং তার সহযোগীকে আইজিপির পিএস পরিচয় দিয়ে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ করে দিবে মর্মে মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫৯), পিতা-মৃত মৌলভী মোঃ বশির উদ্দিন, মাতা-মৃত আমেনা বেগম, সাং-সিতাইকুন্ড, থানা-কোটালীপাড়া, জেলা-গোপালগঞ্জ, বর্তমানে-ইরানী ফ্যাশন হাউজ, ৪৬ বিপনী বিতান, নিউ মার্কেট, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-চট্টগ্রাম এর নিকট হতে তার বন্ধুর ছেলে মোঃ মোরশেদ এবং তৌহিদুলকে এসআই পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে ঢাকায় যান এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ঘোরাফেরা করে তাদের আশ্বস্থ করেন, আইজিপির সাথে কথা হয়েছে, চাকুরী হবে। গত ৬ ফ্রেবুয়ারী ঢাকাস্থ ইমপেরিয়াল হোটেলে অবস্থানকালীন চাকুরী হয়েছে জানিয়ে প্রতারকগন দেড় লাখ টাকা টাকা গ্রহন করে। পরবর্তীতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী নির্ধারিত এসআই নিয়োগের শারীরিক মাপ চলাকালীন সময়ে প্রার্থীদ্বয়কে দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে কৌশলে একপাশে দাড় করিয়ে রেখে আরো দুই লক্ষ টাকা গ্রহন করে। আইজিপি-র পিএস পরিচয় দান কারী আবুল কাশেম চৌধুরীর ঠিকানায় সাড়ে ১১ হাজার টাকার শুটকী মাছ কুরিয়ারের মাধ্যমে গ্রহন করেন। গত লা মার্চ ১ থেকে উক্ত প্রতারককে ফোন দিয়ে না পেয়ে হাজী মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিএমপি’র ডিসি-ডিবি (বন্দর) কে বিষয়টি অবহিত করলে তার পরামর্শে উক্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে সিএমপি’র কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে।মামলার সূত্র ধরে প্রতারক ফিরোজ আলম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পরবর্তী সে ডিবি পুলিশকে প্রতারনা করে পালানোর কৌশল অবলম্বন করতঃ নিজে নিজের জিহ্বায় কামড় দিয়ে রক্তবমির ভান করে। বর্তমানে সে পুলিশ প্রহরায় চ.মে.ক হাসপাতালে ভর্তি আছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার করে পালানোর কৌশল হিসাবে উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে। প্রতারনার কৌশল হিসাবে ধৃত আসামী ঘটনার সময় পুলিশের পি-ক্যাপ ব্যবহার করে।