কবিতা
এখানে বসন্ত আসে না
মোশাররফ হোসেন খান
ভোর হয় । দিন আসে নিদাঘ দুপুর
বৃক্ষের পাতা ঝরে। স্থবির বিমূঢ পুকুর।
থেমে যায় বাতাসের দাপাদাপি
ঘেমে ওঠে কৃষক। শুরু হয় বুকের কাঁপুনি!
মাঠটিও ধুধু। গরুগুলি কেমন নীরব - নিথর
কিষাণির বুক কাঁপে থর থর!
একান্ত নিজস্ব ভূষণে ¤্রয়িমাণ পিতা
মায়ের চোখদুটি কেমন ছলো ছলো
ছোট মেয়েটির কেনা হয়নি ফিতা!
কোথায় গেল ঝুঁটিওয়ালা মোরগটি?
এ পাড়া -- ও পাড়া কত খোঁজে মা
তবুও পায় না তাকে! কী বিড়ম্বনা!
মাথায় দু,'হাত রেখে বসে পড়ে পিতা,
ভাবে- এ জীবনে আর হলো না জেতা!
কেবলই হারের পালা! ভারী হচ্ছে --আরও ভারী
একটা জীবনেও দেয়া গেল না পাড়ি! ----
বৃক্ষের পাতাও নড়ে না। ঘুঘু -- শালিকে নেই হাসাহাসি
যেন কেউ কাউকে কখনো ভালো বাসে না,
এমনি কাল! -----
এখানে কখনো বসন্ত আসে না!...
বর্ণীল পথে
হাসান নাজমুল
জীবনের পথে পড়ে আছে অসংখ্য কাঁটা
হাঁটতে হাঁটতে কিছু কাঁটা বিঁধবেই;
পায়ের ভেতর থেকে অনর্গল বের হবে রক্ত
কখনো তাবৎ পথ হবে রক্তময়;
জীবনের পথ যেন রক্তপথ!
তবু হেঁটে যেতে হবে কৌতূহল নিয়ে,
সামনে কিছু তো আছেই;
দেখতে হবেই, থেমে থাকা নয়
বরং আরও গতি নিয়ে
সামনের পথটা পেরিয়ে
আবার তারও সামনের পথে যেতে হবে,
এ জীবনে দেখবার শেষ নেই
শুধু যেতে হয় বহুত বর্ণীল পথে,
হৃদয়ের শঙ্কা ঝেড়ে ফেলে-
কখনও কখনো নামতে হয় যোদ্ধার সাজে।