শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এমডিকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার : ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের ঘটনায় এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউর রহমান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এম এ আউয়াল ও মশিউর রহমান এই অর্থ পাচারের ঘটনায় করা মামলার আসামী নন। তদন্তের প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অর্থ পাচারের ঘটনায় করা মামলার তিন আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানান প্রণব। এরা হলেন- হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং মোহাম্মদ মাহফুজ উল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নুরুল আজিম।
এর আগে রোববার একই মামলার আসামী ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। বাকিরা হলেন- এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ চৌধুরী, মো. ফজলুর রহমান ও কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল। পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের বড় ভাই ওয়াহিদুল হকসহ মামলার সাত আসামীই জামিনে আছেন।
ওই অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি দুদক কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে আটজনকে আসামী করে মামলা করেন। অপর আসামী বেসরকারি ব্যাংকটির গ্রাহক ব্যবসায়ী সাইফুল হক ২৫ জানুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন।
সিঙ্গাপুর ও দুবাইভিত্তিক কোম্পানি পিনাকল গ্লোবাল ফান্ডের (পিজিএফ) সঙ্গে মিলে বিনিয়োগের নামে এবি ব্যাংকের অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলাটি করার আগে মোট ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখা থেকে দুবাইয়ে পাচার করে এবং পরে তা আত্মসাৎ করে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ পাচারের ওই ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।
আত্মসাতের এই ঘটনা যখন ঘটে, ওয়াহিদুল হক তখন ব্যাংকের চেয়ারম্যান। কথিত ওই বিনিয়োগ এবং অর্থ আত্মসাতের নেপথ্যে ব্যাংকের গ্রাহক আটলান্টিক এন্টারপ্রাইজের সাইফুল হকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে দুদকের অভিযোগ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ