বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহজালালের চোখ উৎপাটন ॥ মামলা ও পুনঃতদন্তের নির্দেশ

খুলনা অফিস: খুলনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহজালালের দুই চোখ উৎপাটন মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এ দায়িত্ব পেয়েছেন খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের উপ কমিশনার। রোববার দুপুরে খুলনা মহানগর হাকিম মো. শাহীদুল ইসলাম বাদীর নারাজি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। রোববার শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য কেএমপির ডিসি ডিবিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী ২৫ মার্চ মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই পরিদর্শক মো. বাবলুর রহমান খান উল্লেখ করেন, মামলার প্রধান আসামি খালিশপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসিম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
একইভাবে আসামি এএসআই রাসেল, এসআই তাপষ কুমার পাল, এসআই মো. মোরসেলিম মোল্লা, এসআই মো. মিজানুর রহমান, কনস্টেবল আল মামুন, আনসার সদস্য মো. আফসার আলী, ল্যান্স নায়েক আবুল হাসেম, আনসার নায়েক রেজাউল হক, এসআই মো. নূর ইসলাম, এসআই সৈয়দ সাহেব আলী, সুমা আক্তার এবং মো. রাসেলের বিরুদ্ধেও অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ।
এর আগে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলি আদালতে দাখিল করা শাহজালালের মা রেনু বেগম এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই শাহ জালাল মহানগরীর নয়াবাটি রেললাইন বস্তি কলোনির শ্বশুর বাড়ি থেকে রাত ৮টায় মেয়ে শিশু দুধ কেনার জন্য বাসার পাশ্ববর্তী দোকানে যান। এ সময় খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খানের নির্দেশে তাকে থানায় ডেকে নেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলে ওসি তাকে ছাড়ানোর জন্যদেড় লাখ টাকা দাবি করেন। দাবি করা টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা শাহজালালকে পুলিশের গাড়িতে করে বাইরে নিয়ে যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ