রাজশাহীতে গাঁজাসহ আটক দুই কারারক্ষী ও এনজিও কর্মকর্তার নামে মামলা
রাজশাহী অফিস : রাজশাহীতে গাঁজাসহ আটককৃত দুই কারারক্ষী এবং এনজিও আশার কর্মকর্তার নামে মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
দুই কারারক্ষী হলেন, গোলাম আজম ও ফেরদৌস রহমান। আর এনজিও কর্মকর্তার নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি জেলার চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছি ফকিরপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এবং আশা’র তাহেরপুর ব্রাঞ্চের ক্রেডিট কর্মকর্তা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পবা উপজেলার বালিয়া এলাকা থেকে শফিকুলকে ২শ’ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়। কাশিয়াডাঙ্গা থানার পুলিশ জানায়, আর গোলাম আজম ও ফেরদৌস হাসানকে গ্রেফতার করা হয় এক পুরিয়া গাঁজাসহ। তারা নতুন চাকরি পেয়েছেন। প্রশিক্ষণের জন্য তারা রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। সন্ধ্যায় তারা একটি অটোরিকশায় চড়ে পবা থেকে রাজশাহী নগরীর দিকে আসছিলেন। এ সময় কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের অটোরিকশাটি থামায়। তখন গোলাম আজম তার কাছে থাকা গাঁজার পুরিয়াটি ফেরদৌসকে দিচ্ছিলেন। পুলিশ বিষয়টি দেখে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ আরো জানায়, দুই কারারক্ষীর নামে রাজশাহী মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর শফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। শনিবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
যুবকের আত্মহত্যা
রাজশাহীর তানোরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। ওই ব্যক্তির নাম লালচান মিয়াঁ (৩৫)। তিনি তানোর উপজেলার কোয়েল গ্রামের মজির উদ্দিনের পুত্র।
গ্রামবাসীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে নিহতের মা পাশের বাড়ির লোকজনদের ডেকে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকেন। পরে গলায় দড়ি দিয়ে তীরের সাথে ঝুলা অবস্থায় তার ছেলেকে দেখতে পান। তবে, কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।