শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রধানমন্ত্রীর সারাবছরই নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার অধিকার আছে -হাছান মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। একইসাথে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিও বটে। মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সারাবছরই নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার অধিকার রয়েছে। যদি এটি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করত তখন বিএনপি প্রশ্ন তুলতে পারতো যে, প্রধানমন্ত্রী সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- জনগণের সামনে তুলে ধরা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। সেইসাথে সারাবছরই সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-গুলো জনগণের কাছে তুলে ধরাও তার দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী সে দায়িত্ব পালন করছেন এবং নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। এতে আইনের কোন ব্যত্যয় হয় নাই এবং নির্বাচন কমিশনের রুলসের কোন ব্যত্যয় হয় নাই।
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, আপনাদেরও ভোট চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আপনারও ধানের শীষে ভোট চান। আপনারা ধানের শীষে ভোট চাইবেন না বা নির্বাচন বর্জন করার চিন্তাভাবনা করবেন, ভোট ভ-ুল করার চিন্তাভাবনা করবেন এটাতো হতে পারে না। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাবো, যাদের এই বোধশক্তি নেই তাদের যাতে বোধশক্তি আসে। নির্বাচন কমিশন দয়া করে এই ব্যাখ্যাটি দিবেন সব দলের নির্বাচনের প্রচারের অধিকার রয়েছে।
বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের তৎপরতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, মওদুদ আহমেদের তৎপরতা এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনি যখনই তৎপর হয় তখনই একটা উদ্দেশ্য থাকে। তিনি যখনই তৎপর হয়েছেন তখনই পল্টি নিয়েছেন। মওদুদ আহমেদ এখন বেশি তৎপর হয়েছেন। এটা কি পল্টি মারার পূর্ব লক্ষণ কিনা সেটি ভবিষ্যৎ বলে দিবে।
মওদুদ আহমেদ বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া যদি জেলে থাকে তাহলে তাদের নাকি প্রতিদিন ১০ লাখ ভোট বাড়ে। তাহলে তারা নিশ্চয়ই চান না বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হোক। দিনে যদি ১০ লাখ ভোট বাড়ে তাহলে তাদের উপলব্ধি হল বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাক। যে সমস্ত আইনজীবীরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলে বেশি ভোট বারে সে সমস্ত আইনজীবীরা যদি মামলার জন্য লড়ে তাহলে বেগম জিয়ার জেল থেকে বের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এবং রিজভী আহমেদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, তারা সকালে একটা সংবাদ সম্মেলন করেন, বিকেলে আরেকটা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা সংবাদ সম্মেলনে এমন এমন অভিযোগ তোলেন যেন তারা স্বপ্নেও এসব দেখেছিলেন। আমি তাদেরকে অনুরোধ জানাবো এবং বিএনপি আইনজীবী টিমকে অনুরোধ জানাব তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্তরিক হোন।
বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারও জনগণের কাছে গিয়ে আপনাদের ভোট চান। অন্যরা ভোট চাইলে দয়া করে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না।
চেতনা ৭১ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু, সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়িকা সাহারা বেগম কবরী, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ