বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কোহলি-স্মিথকে ছাড়িয়ে ধারাবাহিকতায় এগিয়ে মুশফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার : টেস্ট ক্রিকেটে বিরাট কোহলি ও স্টিভেন স্মিথ ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে নিজ দলকে দিয়েছেন একাধিক বড় সাফল্য। কিন্তু একটি জায়গায় মুশফিকুর রহিমের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন তারা। ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েব সাইট ক্রিকইনফোর মতে গতবছর টেস্ট ক্রিকেটে বিরাট কোহলি ও স্টিভেন স্মিথের থেকেও ধারাবাহিক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। বিরাট কোহলি ৭৫.৬৪ গড়ে গত বছর টেস্টে রান করেছেন ১ হাজার ০৫৯, স্টিভেন স্মিথ ৭৬.৭৬ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৩০৫। ক্রিকইনফোর বিচারে বছরের সেরা ব্যাটসম্যান  কোহলি (ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিসহ) এবং সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। ক্রিকেটে পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে স্ট্যাটগুরু অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়ে থাকে। পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই মুশফিক জিতেছেন মোস্ট কনসিসটেন্ট অ্যাওয়ার্ড। গত বছর মুশফিকুর রহিম ৫৪.৭১ গড়ে রান করেছেন ৭৬৬। টেস্টে ৭৫০ এর বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম ছিলেন সবথেকে ধারাবাহিক। ধারাবাহিকতার দিক থেকে মুশফিক পিছনে ফেলেছেন সবাইকে। এ তালিকায় রয়েছেন কোহলি, স্মিথও। ব্যাটিং ধারাবাহিকতার গুণনীয়কে মুশফিক রয়েছেন শীর্ষে। তার ধারাবাহিকতার গুণনীয়ক ১.৩২। তারপরেই স্মিথের অবস্থান, ১.২৩। গত বছর ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটানো মুশফিক মাত্র একবার দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্লুমফন্টেইনে করেছিলেন ৭ রান। এছাড়া ২০ রানের আগে আউট হয়েছেন মাত্র দুবার। দশ ইনিংসে করেছেন ২৫ এর ওপরে রান। রানের স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন ৪১.৪৭। নিউজিল্যান্ডে বছরের শুরুতেই মুশফিক খেলেছিলেন ১৫৯ রানের ইনিংস। এক ইনিংস পরই ভারতের মাটিতে করেন ১২৭ রান। গলে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৫ রান। এছাড়া আরও দুটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন টেস্টের প্রাক্তন অধিনায়ক। সব মিলিয়ে মুশফিক ছিলেন অনবদ্য, দুর্দান্ত। অন্যদিকে ৭৬.৭৬ গড়ে ১ হাজার ৩০৫ রান করা স্মিথ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তিনবার এবং ২৫ বা তার বেশি রান করেছেন ১৩ ইনিংসে। ভারতের চেতেশ্বর পূজারাও ছিলেন স্মিথের মতোই ধারাবাহিক। তার ধারাবাহিকতার গুণনীয়ক ১.১৭ এবং ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ০.৯৪। কোহলি গত বছর তিনটি ডাবল  সেঞ্চুরির ইনিংস খেললেও ১৫ বা তার কম রান করেছেন ৮ ইনিংসে। ৬০ ম্যাচে ৩ হাজার ৬৩৬ রান করা মুশফিকুর রহিমের এ বছরের শুরুটাও ভালো হয়েছিল। শ্রীলংকা বিপক্ষে চট্টগ্রামে করেছিলেন ৯২ রান। এরপর অবশ্য টানা দুই ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ঢাকায় শেষ ইনিংসে করেছিলেন ২৫ রান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ