ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

তামিমের এক পাগলা ভক্তের গল্প

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: আজ তামিমের এক পাগল ভক্তের বাঁধভাঙা ভালোবাসা গল্প বলবো।তার নামও তামিম।মোহাম্মদ তামিম।দশম শ্রেণীর ছাত্র।থাকে মিরপুর কাজীপাড়ায়।ক্রিকেট আর ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে ভালোবাসে সে।বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচটি দেখার খুব ইচ্ছা ছিল তার, বায়না করেছিল বড় ভাই-বোনদের কাছে।কিন্তু আশা পূরণ হয়নি।বিনিময়ে খেয়েছে চড়-থাপ্পর।প্রতিদিন স্টেডিয়ামের গেটে এসে দাঁড়িয়ে থাকে, যদি তার স্বপ্নের নায়ক তামিম ইকবালকে এক ঝলক দেখা যায় এই আশায়।এজন্য প্রতিদিনই তাকে পরিবারের সদস্যরা বকাঝকা করেন।আজ শুক্রবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।বরং আজ একটু বেশিরকম উত্তম-মাধ্যম জুটেছে।তারপরও দমিয়ে রাখা যায়নি তাকে, ছুটে এসেছে মিরপুর স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গেটে, ভিতরে খেলা চলছে, সেখানে তামিম ইকবালও আছেন, কিন্তু তাঁকে দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে না শিশুটির।তাই মনের দূঃখে কান্নাকাটি করছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন। তাকে ঘিরে মানুষের হৈ-চৈ। সেই হৈ-চৈ শেষে ছেলেটি একসময় নিজেকে আবিষ্কার করে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবালের বুকে!

কিশোর তামিমকে কাঁদতে দেখে কয়েকজন পুলিশ এগিয়ে যান। তারা সব শুনে জাতীয় দলের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা হাসিব রহমান স্বর্ণকে জানান।

‘পুলিশ সদস্যরা আমাকে অনুরোধ করেন ছেলেটিকে একবার তামিম ভাইয়ের কাছে নিয়ে যেতে। ওর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে আমারও খারাপ লাগছিল। খেলা শেষ হওয়ার পর তামিম ভাইকে আমি ছেলেটির কথা বলি। সব শুনে তিনি আপ্লুত হন।’

তামিম ইকবালকে দেখে কিশোর তামিম কেমন যেন ঘোরের ভেতর হারিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ও তার সেই ঘোর কাটছিল না, ‘আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কখন যে উনাকে জড়িয়ে ধরেছি টেরই পাইনি। আমি খুব খুশি। উনি আমাকে একটা জার্সি দিয়েছেন। ওটা সারা জীবন যত্ন করে রেখে দিব।’

তামিম ইকবাল শুধু জার্সি দিয়েই থামেননি। ছেলেটির বাসায় ফোন দিয়ে কথা বলেন। তার ভাইয়ের কাছে ‘নির্যাতনে’র কারণ জানতে চান। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে কথা দেয়া হয়, আর কোনোদিন কেউ তামিমকে মারধর করবে না।

‘মা তখন বাসায় ছিল না। পরে শুনেছে তামিম ভাইয়া ফোন করেছিলেন। উনি খুব খুশি। আপুও বলেছে আর আমাকে মারবে না,’ তামিমনামা বলতে বলতে কিশোর তামিমের উচ্ছ্বাস আর থামে না, ‘তামিম ভাইয়া অনেক ভাল। অনেক। আজ তো শুক্রবার। বন্ধুদের সব বলতে পারছি না। স্কুলে গেলেই সবার কাছে গল্প করবো।’

উল্লেখ্য, ক্রিকেট আর তামিম ইকবালের প্রতি এমনই নেশার কারণে স্কুলে সবাই তাকে ‘তামিম ইকবাল’ বলে ডাকে।

ডি.স/আ.হু

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ