শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মাতৃভাষা বাংলা ভাষা খোদার সেরা দান

 

স্টাফ রিপোর্টার : বার বার ফিরে আসা ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী মাস ফেব্রুয়ারির সপ্তম দিন আজ বুধবার। এ মাস আমাদেরকে শেখায় ভাষাপ্রেম, দেশপ্রেম, স্বজাত্যবোধ। আরও কতো কী! অমর একুশের বদৌলতেই বাংলা ভাষাকে আমরা আপন করে পেয়েছি- এ কথা অস্বীকার করার কোনো জো নেই। যাই হোক, বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠা কেবল ‘বায়ান্ন’ কিংবা ‘একুশের’ ওপর ভিত্তি করে নয়। জাতীয় চেতনার সৌধ বিনির্মাণের নেপথ্যে রয়েছে দীর্ঘ পরিক্রমা। অযুত-নিযুত মানুষের আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ১৯৪৭ সাল থেকেই মূলত এই জনপদে সমষ্টিগত বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু হয়। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক উপায়ে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল এ অঞ্চলের প্রায় চার কোটি বাংলা ভাষাভাষী। ঊনিশশ’ সাতচল্লিশের জুন থেকে ডিসেম্বর মাস ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে টালমাটাল। ঐ বছরই ১৪ আগস্ট পাকিস্তান বিভক্তির পর পরই কেন্দ্রীয় সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা বর্তমান বাংলাদেশের মানুষের কাছে অসহনীয় মনে হয়। এর আগে ১৭ মে দাক্ষিণাত্যের হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত উর্দু ভাষা সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়- ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ এর মাত্র মাস দুয়েক পরেই আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।’ এ ধরনের বক্তব্যের প্রতিবাদে সারা দেশে ঝড় ওঠে। রাষ্ট্রভাষা নিয়ে তখনি কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছিল।

সাতচল্লিশের নবেম্বর মাসের প্রথমে বাংলাকে বাদ দিয়ে ডাক বিভাগের খাম, পোস্টকার্ড, ডাক টিকেট, রেল টিকেট, মানি-অর্ডার ফরম ইত্যাদি উর্দুর পাশাপাশি ইংরেজিতে ছাপা হয়। এর প্রতিবাদে সরকারি কর্মচারীদের একটি অংশ এবং ছাত্ররা মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে। সভার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়। আর বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার জোরালো দাবি ওঠে। মিছিলের শ্লোগান ছিল- ‘বাংলাকে সব কিছুতে স্থান দিতে হবে’, ‘বাংলা ভাষা ও বাঙালির সাথে বেঈমানী চলবে না’, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, উর্দুর সাথে বিরোধ নাই’, ‘উর্দু-বাংলা ভাই ভাই’ ইত্যাদি। ১২ নবেম্বর ঢাকার বুদ্ধিজীবীগণ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি পেশ করেন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে। ১৭ নবেম্বর করাচিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান শিক্ষা সম্মেলনে পূর্ব বাংলার ভাষা প্রশ্নে বিতর্ক ও অসন্তোষ দেখা দেয়। এ থেকেই মানুষ ফুঁসতে থাকে তীব্র ক্ষোভে।

এদিকে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর করাচিতে ‘পরায়ে উর্দু’ আব্দুল হকের সভাপতিত্বে উর্দুভাষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান। এই সম্মেলনেই উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং প্রস্তাবটি অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়। এই খবর ঢাকায় পৌঁছলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। ৫ ডিসেম্বর ছাত্র-শিক্ষকদের এক যৌথ সমাবেশে মওলানা আকরম খাঁ ঘোষণা করেন বাংলা ছাড়া আর কোনো ভাষাকে পূর্ববঙ্গের রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করা হলে পূর্ববাংলা বিদ্রোহ করবে এবং তিনিই সে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিবেন। ৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্ররা প্রতিবাদ সভার পর মিছিল করে কৃষিমন্ত্রী সৈয়দ আফজাল হোসেন, সিভিল সাপ্লাই মন্ত্রী নূরুল আমীন ও মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ করে। তারা প্রত্যেকেই গণপরিষদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিকে সমর্থন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এতে নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক (পরে প্রিন্সিপাল) আবুল কাসেম, মুনীর চৌধুরী, কল্যাণ দাসগুপ্ত, একেএম আহসান প্রমুখ।

এদিকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তথ্য ঘেঁটে কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক মন্তব্য করেছেন, ক্রোধ ও বিক্ষোভ প্রকাশেও মধ্য শ্রেণীর শিক্ষিত মানুষদের সাথে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসে যোগ দিচ্ছেন এবং আন্দোলন ক্রমেই একটি গণআন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অসংখ্য শোভাযাত্রা, প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হতে থাকে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-শহরে, মহকুমায়-মহকুমায়, জেলায়-জেলায়। এরপর প্রায় ৬০টির মতো স্থানে প্রতিবাদ ও হরতালের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

ভাষা আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তী ডা. আহমদ রফিক তার ‘ভাষা আন্দোলন : ইতিহাস ও উত্তর প্রভাব’ শীর্ষক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “ভাষা আন্দোলন শুধু ঢাকা শহরে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং প্রদেশব্যাপী এ আন্দোলনের বিস্তার ঘটেছিল। এ আন্দোলনের মূল্যায়ন করতে গেলে দেখা যায় যে, পূর্ববঙ্গের একাধিক জেলা শহরে এমনকি মহকুমা শহরেও আন্দোলনের তীব্রতা ঢাকার ২২ ফেব্রুয়ারির আন্দোলনকে মনে করিয়ে দেয়। আর যশোর তো এদিক থেকে এক পা এগিয়ে। কারণ যত দূর জানা যায়, ১৯৪৮ সালের আন্দোলনে অন্য কোথাও ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের গুলীবর্ষণের ঘটনার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। তাই ভাষা আন্দোলনে প্রথম গুলীবর্ষণ যশোরে ঘটেছে বলে ধরে নেয়া চলে।” বর্ণিত গ্রন্থে ‘মফস্বলে ভাষা আন্দোলন’ অধ্যায়ে নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, যশোর, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, দিনাজপুর ও বরিশালে ভাষা আন্দোলনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে, বায়ান্নর ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র হত্যার পর বিদ্রোহবহ্নি দাবানলের ন্যায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর ধাক্কা লাগে নারায়ণগঞ্জেও। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ রহমতুল্লাহ ইনস্টিটিউশনে বিভিন্ন বক্তা পুলিশের গুলীতে ঢাকার ছাত্রহত্যার বিস্তৃত বিবরণ পেশ করেন। সভা শেষে বিরাট মিছিল পুলিশের গুলীর প্রতিবাদে সমগ্র শহর প্রদক্ষিণ করে। ২২ শে ফেব্রুয়ারী সাধারণ হরতাল পালনের আহবান জানান হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি সমগ্র নারায়ণগঞ্জ শহর ও শিল্প এলাকায় হরতাল শেষে ইষ্ট পাকিস্তান ফেডারেশন অব লেবারের সভাপতি ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে তোলারাম কলেজ প্রাঙ্গণে এক বিরাট জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। করাচির ইংরেজী দৈনিক সম্পাদক জেড, এইচ, সুলেরী এই সভায় বক্তৃতা করেন। তিনি বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদাদানের অকুণ্ঠ সমর্থন জানান।

উল্লেখ্য, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ মহকুমার বিচক্ষণ এস,ডি,ও অবাঙ্গালী ইমতিয়াজীর প্রশাসন কোন প্রকার প্রতিবন্ধকততা বা হস্তক্ষেপ করেননি। নারায়ণগঞ্জে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার কারণে অনেককেই গুরুতর মাশুল দিতে হয়েছে। কারাগার হতে বন্ড সহি করে মুক্তি নিতে অস্বীকার করলে মিসেস মোমতাজ বেগমকে তার স্বামী তালাক দেন। এই ভাবেই মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে যোগ দেয়ার অপরাধে নারায়ণগঞ্জ মর্গান হাইস্কুলের হেড মিসেট্রেস মোমতাজ বেগমের সংসার তছনছ হয়ে যায়। 

চট্টগ্রাম বন্দর নগরীতে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন স্তরের সংবেদনশীল ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন দলে সমবায়ে একটি সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা যুবলীগ আহবায়ক এবং মুক্ত হাওয়ায় মুক্ত চিন্তার বাহন ‘সীমান্ত’ পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক নির্বাচিত হন। ঢাকায় পুলিশের গুলীতে আহত নিহতদের খবর পাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় রোগশয্যা হইতে এই বিদগ্ধ কবি “কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি” কবিতাটি রচনা করেন। মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী রোশয্যায় পুলিশ প্রহরাধীন থাকিবার কারণে চট্টগ্রাম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়কের দায়িত্ব বর্তায় চট্টগ্রাম হতে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘আওয়াজ’ সম্পাদক বিল্পবী জননেতা চৌধুরী হারুন-উর-রশীদের স্কন্ধে। আন্দোলনের সক্রিয় নেতৃত্ব দানের কারণে তিনি পূর্বপাক জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়ে বিনাবিচারে রাজবন্দী জীবন-যাপন করেন।

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন পরিচালনার তাগিদে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট বগুড়া জেলা সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা মজিরুদ্দিন আহমদ ও যুবলীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিনকে যথাক্রমে চেয়ারম্যান ও কনভেনর নির্বাচিত করা হয়। আন্দোলন স্তিমিত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে ২৯ ফেব্রুয়ারি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য বগুড়া যুবলীগ সম্পাদক ছমিরুদ্দিন মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন ও শেখ হারুনুর রশীদ, বগুড়া ছাত্রলীগ নেতা নূরুল হোসেন মোল্লা, আবদুল মতিন ও মোটর শ্রমিক নেতা কমরেড সুবোধ লাহিড়ীকে পূর্বপাক নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে ও বগুড়া জেলা কারাগারে বিনাবিচারে আটক রাখে।

বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ঢাকার আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের গুলি বর্ষণে হতাহতেতর খবরে বৃহত্তর নোয়াখালীর সর্বস্তরের মানুষ প্রচন্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তৎকালীন নোয়াখালী জেলা যুবলীগের সভাপতি খাজা আহমদ (পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ এম সি এ), সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, নোয়াখালী সদর মহকুমা যুব লীগের বজলুর রহমান ও নোয়াখালী সদর মহকুমা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নোয়াখালীতে ভাষার দাবীতে প্রচন্ড আন্দোলন সৃষ্টি হয়। এ সময় তাদের সাথে এ আন্দোলনে যে তিনজন ছাত্র নেতা সক্রিয় অংশ নেন তারা হলেন নুরুল হক চৌধুরী (কমরেড মেহেদী) কাজী মেজবাহ উদ্দীন ও নিখিল দাশ গুপ্ত।

অন্যান্য জাতীয় আন্দোলনের মত ভাষা আন্দোলনেও চুয়াডাঙ্গা পিছিয়ে থাকেনি, বরং অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম ঘটনা ঘটে ১৯৪৮ সালের ১৫ই আগষ্ট। তরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা “আজি হতে শত বর্ষ পরে” নাটকটি স্থানীয় শ্রীমন্ত টাউন হলে মঞ্চস্থ হয়। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত এই নাটকে অভিনয় করেন-সুলতান রাজ, আবদুল কাদির, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারী সকাল দশটায় চুয়াডাঙ্গার নীলমনিগঞ্জের পরিমল বোসের বাড়িতে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম প্রণেতা এন এন সাহা। সভায় গুলিবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আন্দোলন বেগবান করার শপথ নেয়া হয়। সভা শেষে এক মিছিল বের হয়। কিন্তু সভার কথা ফাঁস হয়ে পড়ে। ফলে ঐ রাতেই পুলিশ সভায় উপস্থিত প্রত্যেকের বাড়ি হানা দেয়। ঐ রাতের পরিমল বোস প্রথম গ্রেফতার হন। অন্যরা আন্দোলনের স্বার্থে গা ঢাকা দেন। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারী’ বেলা এগারোটায় চুয়াডাঙ্গা ভিজে স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় পরিমল বোসের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারী চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। ছাত্রছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আহবানে সাড়া দেয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ