শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রমের মাঠে সবার ওপরে মুশফিক

স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্টেটে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম স্টেটের দ্বিতীয় সেশনে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। গেল ত্রিদেশীয় সিরিজে তামিম ইকবাল মিরপুরের শেরেবাংলায় গড়েছিলেন এক মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টেস্টের সাদা পোশাকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা ছিল মুশফিকুর রহিমের দখলে। চট্টগ্রামের মাঠে এবার এক হাজার রান করার কৃতিত্ব গড়লেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। চট্রগ্রামে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইমরুল কায়েসের আউট হওয়ার পর মুশফিক এসেছিলেন উইকেটে। জহুর আহমেদের মাঠে ৯৯৮ রান নিয়ে শুরু করেন ব্যাটিং। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই রান পার করে মুশফিক বনে যান শহর চট্টলার মাঠটিতে এক হাজার রান করা প্রথম ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৯৮ রানে আউট হন মুশফিক। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৮ রানে দূরে মুশফিক। সুরঙ্গা লাকমলের করা ৮৪তম ওভারের পঞ্চম বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে নিরোশান ডিকলেভার হাতে জমা হয়। মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৯২ বল খেলে ১০টি চারের সাহায্যে ৯২ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহিম। আউট হলেও মুমিনুল হকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড ২৩৬ রান তোলেন। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রান। আর যেকোনো উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক লর্ডসে মুশফিকের অভিষেক হয়। ২০১০ সালে এসে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান। ভারতের বিপক্ষে এই চট্টগ্রামেই মেইডেন টেস্ট সেঞ্চুরি (১০১) করেন। এরপর ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান।২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন। সেটা ছিল তার তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। আর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদে খেলেন ১২৭ রানের ইনিংস। সেটা ছিল তার পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। আজ নতুন বছরের প্রথম মাসেই সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল মুশফিকের। কিন্তু মাত্র ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ