শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

২০১৭ সালে বাগমারায় ১৫টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত

সর্বহারা ও জেএমবি অধ্যুষিত রক্তাক্ত অতঙ্কিত জনপদ নামে পরিচিত রাজশাহীর বাগমারায় ২০১৭ সালে নারীসহ মোট ১৫টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। দু’টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বিশাল উপজেলায় বিভিন্ন কারণে সংঘটিত হওয়া এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছিল বাগমারার চাঞ্চল্যকর ঘটনাগগুলোর মধ্যে ব্যাপক আলোচিত ঘটনা।
বিদায়ী বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন কারণে যারা হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে তিনজন নারী, একজন শিক্ষক, দুইজন ব্যবসায়ী, একজন প্রতিবন্ধী, একজন ভ্যানচালক ও সাতজন ছিলেন কৃষক। একের পর এক এসব অনাকাক্সিক্ষত খুনের ঘটনায় চরম আতংক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে জীবন-যাপন করেছেন পুরো উপজেলাবাসী। বাগমারা থানার দেওয়া তথ্য মতে, ২১ ডিসেম্বর উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোকনগর শেখপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর দুই ছেলে মন্টু প্রামাণিক ও নজের আলী প্রামানিকের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাঁসুয়ার কোপে বড় ভাই কৃষক মন্টু প্রামাণিক (৫২) খুন হন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৭ নভেম্বর উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক আকবর আলী (৬৫) নিহত হন। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
১০ নভেম্বর বড়বিহানালী ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী গ্রামের ভ্যানচালক আনিসুর রহমান (৬৮) খুন হন। এ খুনের ঘটনায় নিহত আনিছুর রহমানের স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে সাইদুল ইসলামকে আটক করা হলে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ২৭ নভেম্বর রাতে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে কৃষক খোরশেদ আলমকে (৩৫) দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ