শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

পিএস-এপিএস আত্মীয়স্বজন খারাপ হলে মন্ত্রী নিজেকে ভালো দাবি করতে পারেন না -ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের  নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, দেশের উন্নয়নের কমতি নেই। দেশের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার এ উন্নয়ন করেছে। এখন জনগণ শুধু ভালো ব্যবহার চায়। ক্ষমতার দাপট কেউ দেখাবেন না। মন্ত্রী ও এমপির পিএস, এপিএস কিংবা তাদের আত্মীয়স্বজন খারাপ হলে তারাও (মন্ত্রী-এমপি) নিজেদের ভালো দাবি করতে পারেন না।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দলের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিন। সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী ও দলের কেন্দ্রীয় সদস্য আখতারুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মান্নান খান, উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মুকুল বোস, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ নাঈমুর রহমান, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ মমতাজ বেগম প্রমুখ।
 নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল ভারী ও পকেট ভারী করার জন্য কাউকে দলে টানবেন না। আমরা জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে দলের ম্যান্ডেট চাই। খারাপ আচরণ উন্নয়নের শত্রু। জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন। দেশের উন্নয়ন করছেন শেখ হাসিনা আর মন্ত্রী-এমপিরা উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে আছেন। দলের নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করা। চিহ্নিত কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, ভূমি দখলকারী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, মানবতাবিরোধী শক্তি আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না।’
বর্তমান সরকারের আমলের নানা উন্নয়নমূলক কাজ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০০৮ সালের আগে মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাংসদ ছিল না। বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। আমরা একটি আসনেও ক্ষমতায় ছিলাম না। কিন্তু তারা একটি ভালো কাজ দেখাতে পারবে না। কিন্তু গত ২০০৮ সালের পরে মানিকগঞ্জ যে উন্নয়ন হয়েছে, বিগত ৫০ বছরেও হয়নি। বিএনপি কোন মুখে ভোট দাবি করবে। তারা কি উন্নয়ন করেছে? উন্নয়ন করলে আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। সাত-আট মাস পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। এ বছর হবে সাম্প্রদায়িক শক্তির পরাজয়ের বছর।
নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না, মশারির মধ্যে মশারি টাঙাবেন না। অসুস্থ প্রতিযোগিতা মেনে নেয়া হবে না। নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের জন্য জরিপ হচ্ছে। তিন মাস পর পর নেত্রীর ( শেখ হাসিনা) কাছে এই জরিপ জমা হচ্ছে। মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার সবার আছে। তবে মনোনয়ন বাস্তবায়নে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলবে না। যিনি জনগণের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, শেখ হাসিনা তাকেই মনোনয়ন দেবেন।
বিএনপিকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ নেই মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ঘরে বসে বসে মিথ্যাচার করে। বিএনপি এখন ‘নালিশ পার্টি’। সাংবাদিকদের ডেকে তারা সেই ভাঙা রেকর্ড বাজায়। উন্নয়ন না করে ভোট পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের মানুষ এখন উন্নয়ন না দেখে কারও মুখের কথায় ভোট দেবে না। সেই দিন এখন আর নেই।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের মধ্যে কোন্দল সহ্য করা হবে না। এসব পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে দল ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পাটুরিয়া পর্যন্ত চার লেনে উন্নীত এবং পাটুরিয়ায় আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দলের প্রতিনিধি সভার উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ