বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ভোটাধিকার ফেরাতে রাজপথে নেমে আসতে হবে ---মির্জা আব্বাস

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জানিয়েছেন, মঞ্চে বক্তব্য দিয়ে আমরা হায়েনা সরকার থেকে মুক্তি পাবো না। বদ্ধ ঘরে বসে আমরা কখনও স্বাধীনতার চেহারা দেখতে পাবো না। এ কথা আমাদের পরিষ্কার মনে রাখতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরে পেতে হলে বদ্ধ ঘর থেকে আমাদের বেরিয়ে রাজপথে আসতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল এ সভার আযোজন করে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেতা শাহাজাহান মিয়া স¤্রাট, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

মির্জা আব্বাস বলেন, খোলা মাঠে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হবে। আমরা কি ৯০’র আন্দোলন করি নাই। আমরা কি’ ৯৬ সালে আন্দোলন করি নাই? আমরা সবগুলো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ৭৮ হাজার মামলায় প্রায় ৭ লাখ ৭৮ হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী আসামী। তার মানে নির্বাচনের আগেই তারা নির্বাচনের রাস্তা পরিষ্কার করছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের যারা ক্যান্ডিডেট হবে, যেদিন তারিখ ঘোষণা হবে, সেদিন তারা ঘুম থেকে উঠেই দেখবে এমপি হয়ে গেছে।

পরোক্ষভাবে বাকশাল কায়েমের চূড়ান্ত পর্যায়ে দেশকে নিয়ে গেছে সরকার দাবি করে তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা সব কিছু কয়েক মিনিটের ঘোষণায় বাকশালের মাধ্যমে হরণ করা হয়েছিল। সম্ভবত এক মিনিট বা দেড় মিনিটের ঘোষণায় বাকশাল কায়েম হলো। সমস্ত সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে গেল। দেশের রাজনৈতিক দল বন্ধ হয়ে গেল। 

সেখান থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য উনাকে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। যে চেতনায় তিনি কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, সেই চেতনা থেকে এখন আধুনিক বাংলাদেশ। কিন্তু তখনকার চেয়ে এখন খুব টেকনিক্যালি প্রায় ৯ বছরে চূড়ান্ত পর্যায়ে ইনডাইরেক্টলি বাকশাল কায়েম হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ভেবে দেখবেন, এ দেশে কথা বলার অধিকারকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে! সম্ভবত এমন এক সময় আসবে আমরা বাসায় একটা মিলাদও পড়াতে পারবো না। মিলাদ পড়াতে গেলেই জঙ্গি বলে সন্দেহ করবে। এরকম সময় আসছে।

এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, এই বদ্ধ ঘরে বসে থেকে আপনারা কখনোই স্বাধীন চেহারা দেখবেন না। খোলা মাঠে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, একটা গুলী হয়েছিল, মিলন মারা গেছে, নূর হোসেন মারা গেছে, এই জন্য এরশাদ সাহেবকে খেসারত দিতে হয়েছিল। আর আজকে হাজার হাজার গুলী হচ্ছে, খেসারতের কোনো বালাই নেই। বরং লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে গুলী করে মানুষ মারার জন্য। সেদিন একটা পত্রিকায় দেখলাম সরল বিশ্বাসে যেকোনো হত্যাকা- মেনে নিতে হবে। তাহলে ভোটের অবস্থা কী দাঁড়াবে আমাদের! এভাবেই বাকশাল কায়েম করার একটা প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসছে। এই প্রক্রিয়া থেকে আমাদের বের করে আনতে হলে আন্দোলন করতে হবে। ঘরে বসে বক্তব্য দিয়ে কোনো কাজ হবে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ