মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সিলেটের জাহাজ বিল্ডিং ভেঙ্গে দিচ্ছে সিসিক

সিলেট : অবশেষে নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডে জৈন্তাখালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা জাহাজ বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন

খায়রুল আমিন রাফসান, সিলেট (দক্ষিণ সুরমা) : অবশেষে সিলেটে সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সুরমার ২৫নং ওয়ার্ডের বারখলা এলাকায় অবস্থিত অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক আবাসিক তিনতলা ভবন ‘জাহাজ বিল্ডিং’ ভেঙ্গে দিচ্ছে সিসিক। প্রায় ৩৫ বছরের পুরনো জৈন্তার খালের উপর স্থাপিত এই জাহাজ বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ শুরু গতকাল বুধবার থেকে। এই জৈন্তার খালের উপর দিয়ে ডিঙ্গি নৌকা পাল তুলে কোনো এক সময় চলাচল করতো। অবৈধ দখলদারীদের কুনজরে পড়ে এই জৈন্তার খাল দিয়ে এখন আর একটা কাগজের নৌকাও চলাচল করতে পারে না। কিছুদিন পর পর সিসিক খাল খনন করলেও তা লোক দেখানো মাত্র। ইতিমধ্যে জৈন্তার খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮২ সালে ২৪ শতক জায়গার উপর নির্মিত তিনতলা বিশিষ্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে মুসল্লিদের জন্য পাঞ্জেগানা মসজিদ। এক সময় ভোরে বাচ্চাদের কুরআন শিক্ষাও দেয়া হত। অনেক নামডাকও ছিলো এই ভবনের। রেলসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের পদচারণায় মুখরিত থাকতো জাহাজ বিল্ডিং। একাদিক আধুনিক বিল্ডিং তৈরি হওয়ায় কমতে থাকে এ বিল্ডিং এর জনপ্রিয়তা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মূল বিল্ডিং এর বাহিরের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার আসার পর ভেঙ্গে ফেলা অংশ পুনরায় র্নিমাণ করা হয়।
বিল্ডিংয়ের ৩য় তলার বাসিন্দা ডা. শিমু মৃধা ও ২য় তলার বাসিন্দা কাওসার আহমদ জানান, সিটি কর্পোরেশনের আকস্মিক ভাঙ্গার সিদ্ধান্তের কারণে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন জাহাজ বিল্ডিংয়ে বসবাসকারীরা। বিল্ডিং ছাড়ার ব্যাপারে পূর্বে কোন নোটিশ তাদের না দেয়ায় হঠাৎ পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় উঠবেন সেই নিয়েই চিন্তিত তারা। তারপরেও এ ভবনের বাসিন্দারা নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে সিসিকের এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সিলেট সিটি কর্পোরেশন বেদখল হওয়া ছড়া, খাল ও ড্রেন উদ্ধারের অংশ হিসেবে গত ২ জানুয়ারি সকালে সিসিকের কর্মকর্তাদের নিয়ে ২৫নং ওয়ার্ডের বারখলা, কায়েস্থরাইল ও মুছারগাঁও এলাকা পরিদর্শন করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সে সময় বারখলা এলাকার  জৈন্তারখালের দু’পাশ দখল করে নির্মিত জাহাজ বিল্ডিং ভাঙ্গার নির্দেশ দেন মেয়র।
স্থানীয় ওয়ার্ডবাসীরা মেয়রের কাছে জলাবদ্ধতা ও ড্রেনেজ সমস্যা কথা তুলে ধরেন। মেয়র তাদের দাবির প্রেক্ষিতে দ্রুত এসব এলাকার খাল, নালা ও কালভার্ট পরিষ্কার ও নির্মাণের নির্দেশ দেন সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের। এর আগে জৈন্তারখালের উপর নির্মিতব্য কালভার্ট ও গার্ডওয়ালের উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র। সে সময় ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, প্রকৌশলী শামছুল হক, দৈনিক সংগ্রামের ব্যুরো-চীফ কবির আহমদ, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি আব্দুল হামিদ (আছলম মিয়া) সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ