শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ডাকসু নির্বাচনের নির্দেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৬ মাসের মধ্যে ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েওেছন হাইকোর্ট। আর নির্বাচনের সময় যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তার দরকার হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এর আগে জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক রায়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১২ সালের ডাকসু নির্বাচনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিলেন ঢাবির ২৫ শিক্ষার্থী। তখন ৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত ৩০ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়াকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। সরকারের শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি), ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের কাছে এই জবাব চাওয়া হয়েছিল। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ আজ বুধবার রায়ের দিন ধার্য করা হলো।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের পদক্ষেপ নিতে প্রথমে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিশের কোনো জবাব না দেয়ায় ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালের ২৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ডাকসু নির্বাচনের পর এর সময়সীমা হবে এক বছর। পরবর্তী তিন মাস নির্বাচন না হলে বিদ্যমান কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্তের পর ডাকসু ভেঙে দেয়া হয়।
সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ওই নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে আমানউল্লাহ আমান ভিপি এবং খায়রুল কবির খোকন জিএস নির্বাচিত হয়েছিলন।
ছাত্র সংগঠনগুলো থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে এলেও তারপর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কেন্দ্র সিনেটে ছাত্রদের কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। চলতি বছর ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ড্কাসু নির্বাচনের ওপর গুরুত্বরোপ করে বক্তব্য দেন। একই বিষয়ে আরেকটি রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ মার্চ রুল জারি করেছিল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং গত ২৬ বছরে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিষ্ক্রিতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়েছিলেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
এ রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস মোশতাক হোসেন ও বর্তমান শিক্ষার্থী জাফরুল হাসান নাদিম।
এই রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টের একই বেঞ্চে আজ বুধবার এই রুলের শুনানি হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ