বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ফোরজি কার্যক্রমে বাধা নাই হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট (ফোরজি) লাইসেন্স এবং তরঙ্গ নিলামের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিতের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই আদেশের ফলে ফোরজি কার্যক্রমে আইনগত কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রস্তাব জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল রোববার।
হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল রোববার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রমজান আলী শিকদার।
গত বৃহস্পতিবার চেম্বার জজ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের আদেশ রোববার পর্যন্ত স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন এর ধারনাবিহকতায় শুনানি হয় এ বিষয়ে।
এর আগে গত বৃস্পতিবার সকালে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন। একইসঙ্গে রুল জারি করেন।
ফোরজি নিলামে বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি ২০০৮ সালের ব্রডব্যান্ড নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক-এমন যুক্তি দিয়ে বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে রিট করা হয় হাইকোর্টে। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করার পাশাপাশি ২০০৮ সালের নীতিমালাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
হাইকোর্টে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, সঙ্গে ছিলেন রমজান আলী শিকদার। সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ফোরজি সেবার লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলামের নীতিমালা গত ২৯ নবেম্বর টেলিযোগাযোগ বিভাগে যায়। এরপর ৪ ডিসেম্বর বিটিআরসি ফোরজি লাইসেন্সের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফোরজি বিস্তৃত করার জন্য অপারেটরদের আবেদন ফি দিতে হবে পাঁচ লাখ টাকা। লাইসেন্স পেতে দিতে হবে ১০ কোটি টাকা। আর বার্ষিক নবায়ন ফি হবে ৫ কোটি টাকা। এ লাইসেন্স নিতে অপারেটরদের ১৫০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টিও দিতে হবে। আর রাজস্ব থেকে সরকারকে দিতে হবে আয়ের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
অপারেটরগুলোকে ফোর জি তরঙ্গ বরাদ্দ পেতে অংশ নিতে হবে নিলামে। নীতিমালায় এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ নিলামের ভিত্তিমূল্য ঠিক করা হয়েছে প্রতি মেগাহার্টজে ৩০ মিলিয়ন ডলার। আর থ্রি জির দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ২৭ মিলিয়ন ডলার এবং ৯০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ৩০ মিলিয়ন ডলার ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ