শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মুসলিমদের জন্য মায়াকান্না বিজেপি নেতাদের

১২ জানুয়ারি, ওয়াল ইন্ডিয়া : ভারতের বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিমদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ যে মন্তব্য করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় ‘ভারতীয় জনতা সংখ্যালঘু মোর্চা’র এক সমাবেশে বলেন, ‘বিজেপি কোনো ভেদাভেদ মানে না। সেজন্য যেখানে যেখানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আছে সেখানকার মুসলিমরা পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের চেয়ে আর্থিক ও শিক্ষায় অনেক এগিয়ে আছেন। পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমরা সরকারি চাকরি দুই শতাংশও পান না। আর যে গুজরাটে মোদিজি মুসলিমদের তাড়িয়ে দিয়েছেন, মেরে দিয়েছেন বলে আপনারা প্রচার করেছেন সেখানে সাত শতাংশের বেশি মুসলিম সরকারি চাকরি করেন। গুজরাটের মুসলিমরা গোটা ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত, তারা কলকারখানার মালিক। গুজরাটের মুসলিমরা চার চাকার গাড়ি চড়েন।’

দিলিপ ঘোষ বলেন, ‘আজ মুসলিম সমাজকে শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে, আর্থিক উন্নতি থেকে দূরে রাখা হয়েছে। এসব গরীব মানুষ নিজের পরিবার পালনের জন্য অনৈতিক কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সোজা পথে হচ্ছে না  বলে তাদেরকে বাঁকা পথে উপার্জন করতে হচ্ছে। সেজন্য এখানে ২৭ শতাংশ মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে যে অপরাধীর সংখ্যা, তাতে ৪৭ শতাংশ সংখ্যালঘু আছেন।’

তিনি বলেন, ‘এজন্য কে দায়ী? এজন্য কী বিজেপি দায়ী? পশ্চিমবঙ্গে ৩০ বছর কংগ্রেস, ৩৪ বছর সিপিএম শাসন করেছে ও সাড়ে ৬ বছর ধরে তৃণমূল শাসন করছে। আমরা তো কোনোদিন এখানে ক্ষমতায় আসিনি।’ এ প্রসঙ্গে আজ ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ জপ করার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘গোটা দেশে বিজেপি নতুন করে দ্বি-জাতিতত্ত্ব সামনে নিয়ে আসতে চাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় আসা কোনোভাবেই সম্ভব নয় দিলীপ বাবুরা তা বুঝতে পেরে মুসলিমদের জন্য মায়াকান্না শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু তার মায়াকান্নায় যে চিড়ে ভিজবে না তা স্পষ্ট করে তাকে আগেভাগেই জানিয়ে দিতে চাচ্ছি।’

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘আজ তথাকথিত গুজরাট মডেলের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু গুজরাট হচ্ছে সব থেকে এক ভয়ঙ্কর রাজ্য যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে দু’হাজার মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছিল। এখনো গুজরাটের মুসলিমরা ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় আছেন। তারা একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিজেপি’র সভা সমাবেশে যায়। সুতরাং সেই গুজরাটের কথা তুলে ধরে গোটা দেশে এবং একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদেরকেও ভীত সন্ত্রস্ত করার একটা চেষ্টা চলছে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ