শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বিশেষ পর্যবেক্ষণ তালিকায় রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যা চায় পাকিস্তান

আজিজ আহমেদ চৌধুরী

৮ জানুয়ারি, ডন : ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যাপক লঙ্ঘনের অভিযোগে পাকিস্তানকে বিশেষ পর্যবেক্ষণ তালিকায় রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আজিজ আহমেদ চৌধুরী গত রোববার এক বিবৃতিতে ওই তালিকার বিষয়টি পরিষ্কার করতে বলেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।

গত ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ও চীনসহ ১০টি দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘সুনির্দিষ্টভাবে উদ্বেগের দেশ’ বা সিপিসি শ্রেণিতে থাকা দেশগুলো হলো মিয়ানমার, চীন, ইরিত্রিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সুদান, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান। এর বাইরে ধর্মীয় স্বাধীনতা গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণ তালিকায় রাখা হয় পাকিস্তানকে।

পাকিস্তান বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যা ও অর্থ জানতে চায় জানিয়ে রবিবার এক বিবৃতি দেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিশেষ পর্যবেক্ষণ তালিকায় রাখার বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করেছি’। তিনি বলেন, মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় পাকিস্তান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে।

রাষ্ট্রদূত আজিজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান সাংবিধানিকভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারসহ মানবাধিকার রক্ষায় ও উন্নয়নে কঠোরভাবে নিয়োজিত রয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান সরকার ব্যাপক পরিসরে আইনগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সংবিধানে ঘোষিত অধিকার নিশ্চিত করতে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপের বিষয়ে সচেতন রয়েছে। এসব পদক্ষেপ দেশটিতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ও এর সীমান্ত অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাব।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ