মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

জাতি গঠনের কাজে যুব সমাজকে অবশ্যই অপসংস্কৃতির প্রভাব মুক্ত হয়ে স্বাধীন চিন্তার অধিকারী হতে হবে ---------রাষ্ট্রপতি

ইবি সংবাদদাতা : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ৪র্থ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতির অমিত শক্তি যুব সমাজ। যুব সমাজের শক্তি ও সম্ভাবনাকে দেশ গঠনের কাজে লাগাতে আমাদের যুব সমাজকে অবশ্যই অপসংস্কৃতির প্রভাব মুক্ত হয়ে স্বাধীন চিন্তার অধিকারী হতে হবে। মানবিক ও উদার হতে হবে। তা হলেই আমরা লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো এবং এর সুফল জাতির কাছে পৌঁছাতে পারব।  গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনে সভাপত্বি করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ। সমাবর্তনে তিনি লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি অলিখিত হাস্যরসাত্মক বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তিনি কুষ্টিয়া কারাগারে থাকার স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় তার স্ত্রী ও কন্যা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। লিখিত ব্যক্তব্যে তিনি বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদান কেন্দ্র নয় বরং তা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার শ্রেষ্ঠ পাদপীঠ। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে এবং তাদের বিশ্ব নাগরিকে পরিণত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কারিকুলামভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি মুক্তচিন্তা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উস্যুতে আলোচনা জাতি গঠনমূলক কার্মকান্ড, সমকালীন ভাবনা সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলা ইত্যাদি সৃজনশীল কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের কেবল দক্ষ ও পরিপূর্ণ করে না, কূপমন্ডুকতার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এনে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনাকেও পরিপুষ্ট করে। এর প্রভাব ব্যক্তি জীবনেতো বটেও সামষ্টিক জীবনেও গভীরভাবে প্রভাব ফেলে।  তিনি আরো বলেন,‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সহবস্থান আমাদের হাজার বছরের সুমহান ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করেই আমাদের সমাজ ও সভ্যতা এগিয়ে চলেছে। একে বহমান রাখতে হবে।  তিনি আরো বলেন,‘ উন্নত জাতি গঠনে চাই উন্নত নাগরিক। আর উন্নত নাগরিক গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য। জাতীয় সমস্যার আলোকে কার্যকর নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, উদ্ভাবন শক্তির সৃজন, প্রয়োগিক সুফলদানে সক্ষম বৈচিত্রধর্মী গবেষণার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়েরা উপর অনেকখানি নির্ভরশীল। তিনি ডিগ্রিধারীদের দেশের শ্রমজীবী-কৃষিজীবী মানুষের অবদানের কথা মাথায় রেখে সকল মানুষের কল্যাণে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।  সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সভাপতি প্রফেসর  আবদুল মান্নান। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাফর ইকাবাল। এছাড়াও লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা।  সমাবর্তনে ১০সহ¯্রাধিক ডিগ্রিধারী অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ৫টি অনুষদীয় ডিন গ্রাজুয়েটদের ডিগ্রি উপস্থাপন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর তাদের ডিগ্রি প্রদান করেন।  সময় স্বল্পতার কারণে অনুষদীয়্কোে একাত্তর প্রথমস্থান অধিকারীদের স্বর্ণ পদক চ্যান্সেলর নিজ হাতে প্রদান করতে পারেননি। ডিগ্রিধারীদের সার্টিফিকেট নিজ নিজ বিভাগ থেকে প্রদান করা হচ্ছে। সমাবর্তনে সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. মোঃ সরওয়ার মুর্শেদ, প্রফেসর ড. মোহাঃ সাইদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আরমিন খাতুন। সমাবর্তন শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিগ্রিধারী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ