বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

ফুটবলের আগামী মৌসুম শীতকালে শুরু করতে যাচ্ছে বাফুফে

 

কামরুজ্জামান হিরু : ২০১৮ সালে শীত মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবল আসর শুরু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বর্ষাকাল এড়াতেই নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে পেশাদার লিগ কমিটি।এ ব্যাপারে ক্লাবগুলোরও সবুজ সংকেত আছে। নতুন ক্যালেন্ডার ঘোষনা করতেই আগামী ৮ জানুযারি প্রফেশনাল লিগ কমিটি সভায় বসছে। এ ব্যাপারে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বললেন,‘আমরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি। খেলাটা শীতে আয়োজনের বিষয়ে তারা ইতিবাচক কথাই বলেছে। আগস্টে আমরা দলবদল শুরু করবো। সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরে শুরু করবো লিগ। এতে করে বৃষ্টি মৌসুমটা এড়ানো যাবে। এমন পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছি। ৮ জানুয়ারি প্রফেশনাল লিগ কমিটির সভা আছে। সেখানে আমরা নতুন মৌসুমের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবো।’বিদায়ী মৌসুমে আরেকটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বাফুফে। স্বাধীনতা কাপ দিয়েই শেষ হবে চলমান ফুটবল মৌসুম। বাফুফে চাইছে লিগ শেষে বেশি বিরতি না দিয়ে স্বাধীনতা কাপ শুরু করতে। ‘আমরা লিগ শেষে বেশি দিন সময় নেবো না। জানুয়ারিতে স্বাধীনতা কাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে মৌসুম শেষ করতে চাই’-বলেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।মৌসুম পরিবর্তন প্রসঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি এবং প্রফেশনাল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদীর বক্তব্য ‘কাদামাঠে খেলতে কি কষ্ট একজন ফুটবলার হিসেবে সেটা জানি। তাই আমরা ফুটবল মৌসুম পরিবর্তন করতে যাচ্ছি। প্রিমিয়ার লিগের মধ্যবর্তী দলবদলের সময়টা আন্তর্জাতিকভাবে মিলিয়ে করা হবে, যাতে বিদেশি ফুটবলার রেজিষ্ট্রেশনে কোনো ঝামেলা না হয়। লিগ সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে শুরু করবো আমরা।’

এদিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দশম আসরের পর্দা নামবে ১৩ জানুয়ারি। পেশাদার লিগ কমিটি  গত বছর মার্চে ঘোষনা করেছিলো ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম বলতে বোঝাবে ২০ মার্চ থেকে পরের বছর ১৯ মার্চ পর্যন্ত। লিগ কমিটির এ ঘোষণায় বিজ্ঞতার ছাপ ছিল না। যার নেতিবাচক ফল এবার পেয়েছে তারা। ভরা বর্ষায় খেলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠ হয়েছিল ধানের চারা রোপণের খেত। কোথাও বলভাসা পানি, কোথাও কাদায় ভরপুর-এমন মাঠেই খেলা চালিয়েছে বাফুফে। আসলে লিগটা শেষ করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য, ভালো ফুটবলের জন্য নয়।কাদা মাঠে না খেলেও উপায় ছিল না ক্লাবগুলোর। নিজস্ব মাঠ না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই খেলেছে ক্লাবগুলো।বাফুফের মতো লিগ শেষ করতে পারলে ক্লাব গুলোও খুশি। এমন অবস্থা থেকে পেশাদার লিগকে মুক্তি দিতেই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। বিলম্বে হলেও তাদের বোধদয়টা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ