শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না

 

স্টাফ রিপোর্টার: এমপিওভুক্তির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এমপিও আদায়ের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল  থেকে জাতীয়  প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। আজও শিক্ষক-কর্মচারী  ফেডারেশনের ব্যানারে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করছেন  দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলারের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়সহ জেলা এবং উপজেলার শিক্ষক নেতারা উপস্তিত ছিলেন। 

অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষক নেতারা বলেন, সরকারের হিসাব মতে বর্তমানে দেশে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অবস্থায় আছে, যা এমপিও প্রত্যাশী। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষাদানের পেশায় নিয়োজিত আছেন। সেখানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ১ লাখেরও বেশি এবং ২৫ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীদের তারা পাঠদান করে আসছেন।

তারা বলেন, নন-এমপিও এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই নিয়ম নীতিতে, একই কারিকুলামে, সিলেবাস ও প্রশ্ন পদ্ধতি একইভাবে অনুসরণ করা হয়। তাদের ও আমাদের নিয়োগ পদ্ধতিতেও কোনো পার্থক্য ছিল না, বর্তমানেও নেই, অথচ আমাদের এমপিও নামক অর্থনৈতিক মুক্তির ছোঁয়া নেই। শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিও আদায়ের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

শিক্ষক নেতারা আরো বলেন, আমরা এমপিও আদায়ের দাবিতে বারবার রাজপথে বসেছি কিন্তু আজও দাবি আদায় হয়নি। অবহেলা ও বঞ্ছনার শিকার হয়ে আমরা আবারো রাজপথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি। 

সরকার আমাদের বিভিন্ন সময় এমপিও করার আশ^াস দিলেও তাতে কোন কাজ হয়নি। আমাদের কোন বেতন নেই। বিনা বেতনে আমরা শিক্ষাদান করে আসছি। কিন্তু আর কত দিন। আমাদেরও সংসার আছে । আছে পরিবার-পরিজন। তাহলে কেন আমাদের বেতন দেয়া হবে না। সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতা মূলক করেছে। কিন্তু আমাদেরকে কেন এমপিও করা হচ্ছে না।

তারা আরও বলেন,দাবি আদায়ে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে রাজপথে অবস্থান নিয়েছি। আমরা আজ অসহায় কেন সরকার আমাদের সাথে এরুপ আচরণ করছে আমরা জানিনা। আমাদের দাবি ন্যায্য এ দাবি মানতেই হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ