শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল কলেজের দুর্নীতি দেখতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বোর্ডের ৪শ খাতাসহ শিক্ষক আটক

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুর্নীতি অনিয়ম দেখতে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা পড়েছেন
শিক্ষক হাসমত আলী। সে সময় তিনি শিক্ষাবোর্ডের খাতা তার ছাত্রদের দিয়ে মূল্যায়ন করাচ্ছিলেন। কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষার ৪শ খাতাসহ শিক্ষক হাসমত আলীকে আটক করলে তিনি দোষ স্বীকার করায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার উক্ত শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করেন।
জানা গেছে, অভিযোগ রয়েছে- চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে কোনো জাতীয় দিবস পালন করা হয় না। অধ্যক্ষ মো. মাসরেকুল ইসলামসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ শিক্ষক স্কুলে না এসেই ব্যাকডেটে হাজিরা খাতায় সই করেন। গত ২৫ নবেম্বর দেশব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন না করা হলে কতিপয় শিক্ষক ও অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। সোমবার বেলা ১১টায় অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে আকস্মিক চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়স্থ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার। তিনি সেখানে অভিযোগের সত্যতা পান। স্কুলের নোটিশ খাতাটি জব্দ করেন। এ সময় তিনি দেখেন স্কুলের একটি কক্ষে শিক্ষক মো. হাসমত আলী ২৩ জন ছাত্রকে দিয়ে বোর্ড পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ছাড়া অন্য কারো মূল্যায়নের এখতিয়ার না থাকলেও শিক্ষক হাসমত আলী নিজের সুবিধার্থে ছাত্রদের দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করাচ্ছিলেন। পরে লিখিতভাবে দোষ স্বীকার করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত খাতাগুলো ট্রেজারিতে আটক রাখা হয়েছে এবং শিক্ষক হাসমতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
৫০ হাজার টাকা জরিমানা
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুলচারায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের মৃত লিতুয়ার রহমানের ছেলে এনামুল হক গ্রামের কৃষি জমির পাশের একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে বালু উত্তোলনের সময় আটক করা হয় এনামুলকে। পরে সে তার অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াশিমুল বারী বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০র ১৫(১) ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় জরিমানার টাকা আদায়পূর্বক তাকে সতর্ক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ