মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার : বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে তিনদিন অনশনের পর গত সোমবার কর্মসূচি স্থগিত করা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই আলোচনায় বসবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই আলোচনায় শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক মনে হলে তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তিনি বলেন, এ সপ্তাহেই আমরা আলোচনা শুরু করব। আলোচনার টেবিলে যদি দেখা যায় তাদের (শিক্ষক) দাবি যৌক্তিক তাহলে মেনে নেয়া হবে।
গণশিক্ষা মন্ত্রীর কাছ থেকে স্পষ্ট কোনো আশ্বাস না পেলেও নেতাদের অনুরোধে সোমবার সন্ধ্যায় অনশন ভাঙেন আন্দোলন চালিয়ে আসা এই সহকারী শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে গণশিক্ষামন্ত্রী ফিজার বলেন, শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা হবে- সেই আশ্বাস আমি দেইনি। ওই আশ্বাস দেয়ার কর্তৃত্বও আমার হাতে নেই কারণ এর সঙ্গে অর্থ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জড়িত।
শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে জানিয়ে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের মধ্য থেকে পাঁচ থেকে সাত জনের একটি প্রতিনিধি দল ঠিক করতে বলা হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনগুলো নিবন্ধিত না হওয়ায় চিঠি দিয়ে তাদের ডাকা যাবে না।
সহকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।
এছাড়া উন্নীত ধাপে প্রধান শিক্ষকরা যখন ৫৩ হাজার ৬০ টাকা স্কেলে বেতন পাবেন, তখন সহকারী প্রধান শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকদের প্রায় অর্ধেক ২৭ হাজার ৩০০ টাকা পাবেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ