শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বিপ্লবী নারীদের সাথে সু চি বেমানান

 

২৫ ডিসেম্বর, ইন্ডিয়া টুডে : বিশ্বের ১শ’ জন বিপ্লবী-সাহসিনী নারীদের নিয়ে লেখা বইতে ‘গুড নাইট স্টোরিজ ফর লেবেল গালর্স’ নামে মেরি কুরি থেকে হিলারি ক্লিনটন বা সেরেনা উইলিয়ামস এর মতো স্থান পেয়েছিলো মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র নামও।

কিন্তু মায়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সেনাবাহিনীর অকথ্য নির্যাতন নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হলেও তাকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।

তাই ‘গুড নাইট স্টোরিজ ফর রেবেল গালর্স’ নামে ওই বই থেকে মায়ানমারের এক সময়ে গণনেত্রী ও বর্তমান সরকারের পরামর্শদাতা অং সান সু চি’কে বাদ দেয়ার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, এ বছরের শেষে এ বইয়ে সু চি’র কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারণ বইটি লেখার সময়ে সু চি আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন অন্য কারণে। তিনি তখন বিশ্বের চোখে নির্যাতিতদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সাহসী স্বর। শান্তিতে নোবেল জয়ীও। কিন্তু সে অবস্থান নড়ে গেছে রোহিঙ্গা সঙ্কটের পর থেকে। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যে হিংসাকে জাতিসংঘ পর্যন্ত জাতিনিধনের সঙ্গে তুলনা করেছে, তা নিয়ে সু চি খুব কম শব্দই উচ্চারণ করেছেন।বইটির পরবর্তী সংস্করণে সু চি’র নাম বাদ দেয়ার দাবি উঠেছে। সে দাবি এতটাই জোরালো যে, বইয়ের দুই লেখিকা এলেনা ফাভিলি এবং ফ্রান্সেস্কা কাভালো বই থেকে সু চি’র অংশ সরিয়ে দেওয়ার কথাই ভাবছেন।সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সু চি’র ২১ বছরের গৃহবন্দি থাকার দিনগুলো থেকে শুরু করে তার মুক্তি পর্যন্ত সময়কাল ধরা রয়েছে ‘গুড নাইট স্টোরিজ ফর রেবেল গালর্স’ এ।  লেখা হয়েছে, ‘তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। নিজের ঘর ছেড়ে বেরোতে হয়নি। তবুও সে প্রতিবাদেই তার দেশ এবং পৃথিবীর অগুনতি মানুষকে তিনি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ