বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মাদারীপুরে শিশু অপহরণের পর হত্যা ॥ ৪ অপহরণকারী গ্রেফতার

মাদারীপুর সংবাদদাতা : ওবায়দুর চোকদার (১০) নামের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের ৭দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে শিবচর থানা পুলিশ। রোববার দিবাগত মধ্যরাতে মাদারীপুরের শিবচরে মাদবরেরচর এলাকার পুরাতন জাহাজঘাট এলাকার নদীরমধ্যে মাছের ঘের থেকে শিশু ওবায়দুরের লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পুলিশ অপহরণের অভিযোগে ঘটনার মূল হোতা মারুফ চোকদারকে গ্রেফতার করেছেন বলে শিবচর থানার ওসি জাকির হোসেন জানান।
নিহত শিশুর পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানায় গত মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে চর ইউনিয়নেরপূর্ব খাড়াকান্দি গ্রামের রতন চোকদারের ছেলে ও খাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়  শ্রেণিরছাত্র ওবায়দুর খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে সেখান থেকে আর ফিরে আসেনি। বুধবার সন্ধ্যায় একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে মুক্তিপনের ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। এরপর থেকেই ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গত শুক্রবার (১৫ডিসেম্বর) শিবচর থানায় জিডি করা হলে পুলিশ কৌশলে মারুফ নামের যুবককে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের কথা স্বীকার করলে পুলিশ অন্যদের আটক করে এবং তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী গত রোববার মধ্যরাতে মাছ ধরার জন্য তৈরি নদীর ঘেরের মধ্য থেকে লাশটি উদ্ধারকরে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই এলাকার মারুফ (২০), ইমরান (১৮), মনির (১৭) ও রাকিব (২০) নামেরচার বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ওবায়দুরের মা জাহানারা বেগম বিলাপ করতে করতে জানান, অপহরণকারীরা ১০লক্ষ টাকা দাবি করে ওবায়দুরকে ফিরিয়ে দিতে। এরপর আর যোগাযোগ করেনি। তিনি কাদতে কাদতে বলেন, পদ্মা সেতুর অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকার ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব নিয়েই আমার ছেলেকে খুন করলো ওরা । আল্লারে আমি তোমার কাছে বিচার চাই।
এস আই আলমীর হোসেন বলেন, আমরা কললিস্টের সূত্র ধরে কৌশলে প্রথমে পাশের বাড়ির মারুফ চোকদার নামে এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অন্য সহযোগীদের নাম ঘটনা প্রকাশ করে। পরে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে। আরো থাকতে পারে যা তদন্তে আসতে পারে। গুরুত্বের সাথে বিষয়টি আমরা দেখছি। পদ্মা সেতুর অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে নিহতের পক্ষে সাথে আসামী মারুফ, তার বাবা ফরিদ চোকদার ও মোহাম্মদ মুন্সীর দ্বন্দ্ব থাকায় এ হত্যাকান্ড ঘটায় বলে আটক মারুফ পুলিশকে নিশ্চিত করেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ