শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

অন্তত একটি করে শীতবস্ত্র বিতরণ করুন -শিবির সভাপতি

গতকাল সোমবার দুপুরে নাঙ্গলকোট উপজেলার স্থানীয় এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির নাঙ্গলকোট উপজেলার উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত

শীতার্তদের মাঝে প্রত্যেককে একটি করে হলেও শীতবস্ত্র বিতরণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত।
গতকাল সোমবার দুপরে নাঙ্গলকোট উপজেলার স্থানীয় এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির নাঙ্গলকোট উপজেলার উদ্যোগে ছাত্রশিবির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দরিদ্র ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা দক্ষিণ সভাপতি ইব্রাহিম হাসানের পরিচালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও সেক্রেটারি যোবায়ের হোসেন, নাঙ্গলকোট দক্ষিণ জামায়াতের আমীর মাস্টার আব্দুল করিম, সদর শিবির সভাপতি সিরাজুম মুনির, নাঙ্গলকোট উত্তর সভাপতি বেলায়েত হোসাইনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এর আগে তিনি সকাল ৮ টায় নোয়াখালী শহর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত স্থানীয় একটি মাঠে অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। নোয়াখালী শহর সভাপতি তাহসান হাবীবের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শহর অফিস সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শাহীন। শহর এইচআরডি সম্পাদক আব্দুল আজীজ শামীম ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ সভাপতি কামরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
শিবির সভাপতি বলেন, প্রতি বছরই শীতের সময়টাতে ভয়াবহ দুঃখ কষ্টে কাটে লাখো মানুষের দিন। দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অৎস্র দরিদ্র মানুষ আছে যাদের কপালে সামান্য শীতবস্ত্র টুকুও জোটছে না। শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয় খোলা উদ্যান, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, রাস্তার পাশে ঘরহীন মানুষেরা নিদারুন কষ্টে দিন যাপন করছে। শীতজনিত অসুখ-বিসুখের বিস্তার হচ্ছে এবং এতে আক্রান্ত হয়ে কষ্ট পাচ্ছে শীতার্তরা। সরকার ও সমাজের সামর্থ্যবানরাসহ সবাই যদি একটু এগিয়ে আসে, তাহলে এই সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করা যায়। তাছাড়া একটি মুসলিম প্রধান দেশে শীতার্তরা কষ্ট পাবে তাও অনাকাক্সিক্ষত। বরং ইসলামের শিক্ষা হলো তুমি যা নিজের জন্য পছন্দ করো তাই অন্যের জন্য পছন্দ করো। একই সাথে বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক ও সেবামূলক সংস্থাগুলোও শীতার্ত মানুষের সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে পারে। মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে কেবল আমরা একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। এজন্য দেশের ছাত্র ও তরুণ সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। আসুন এই শীতে মানবিকবোধ থেকে আমরা শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই, মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে সাহায্য করি। শীতার্তদের প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিই।
তিনি বলেন, ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একদিকে যেমন সামর্থ্য অনুযায়ী শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আসছে তেমনি ছাত্রজনতাকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করে আসছে। ইতিমধ্যেই পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে নেতাকর্মীদের শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি নেতাকর্মীকে কমপক্ষে একটি করে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আমরা আশা করব, ছাত্রশিবিরের পাশপাশি সমাজের সামর্থ্যবান ছাত্রজনতা শীতার্তদের পাশে দাঁড়াবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ