বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

গ্যাস, বিদ্যুত, হোল্ডিং ট্যাক্স ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিএনপি কদমতলী থানার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : চাল ডাল পিঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি এবং গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিসহ সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে মিছিলকারীদের সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও পুলিশী হামলায় বেশ কয়েকটি স্থানে কর্মসূচি পন্ড হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসাবে ঢাকা মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দয়াগঞ্জ-জুরাইন নতুন সড়ক থেকে মুন্সীপাড়া হয়ে গেন্ডারিয়া স্টেশন পর্যন্ত এলাকায় সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র ২য় যুগ্ম সস্পাদক এবং শ্যামপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ ন ম সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে শ্যামপুর-কদমতলী থানা বিএনপি’র এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ডেমরা থানা বিএনপি দুপুরে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সহ সভাপতি ডেমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন রতনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর পুলিশি হামলায় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন খোকনের নেতৃত্বে দুপুরে ঢাকেশ^রী এলাকায় লালবাগ থানা বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ হামলা চালায়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়, পুলিশ ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং রাসেল নামে একজন বিএনপি কর্মী গ্রেফতার হয়।
বাড্ডা থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল বাড্ডা লিংক রোড থেকে শুরু হয়ে বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে এসে শেষ হয়। পল্লবী থানা বিএনপি একটি মিছিল কমিশনার মোঃ সাজ্জাদ ও বুলবুল মল্লিকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। খিলক্ষেত থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত। মিছিল ৩০০ ফিট বসুন্ধরা কনভেনশন হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে খিলক্ষেত ফ্লাইওভারের নিচে এসে শেষ হয়। শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির একটি মিছিল স্কয়ার হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে সমরিতা হাসপাতালের সামনে গিয়ে পুলিশি বাঁধায় পন্ড হয়ে যায়। মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল আনন্দ বিদ্যালয় হতে শুরু হয়ে শিশু মেলায় এসে শেষ হয়। উত্তরখান থানা বিএনপির একটি মিছিল বেপারী রোড থেকে শুরু হয়ে চৌরাস্তা গিয়ে শেষ হয়। বিমানবন্দর থানা বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বিমানবন্দর বাজার থেকে শুরু করে চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। তেজগাঁও থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল এল, রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল এম,এ মনির হাছান এর নেতৃত্বে ডি.পি.এস স্কুলের সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজউক স্কুলের সামনে এসে শেষ হয়। উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল মোঃ মতিউর রহমান মতির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল মোঃ আফাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির আরেকটি মিছিল হাজী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জাকিরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরা পশ্চিম থানার আরেকটি মিছিল হাজী দুলালের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরা পশ্চিম থানার বিক্ষোভ মিছিল মোস্তফা কামাল হৃদয়ের নেতৃত্বে সাইদগ্রান থেকে হাউজ বিল্ডিং পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। শাহআলী থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সভাপতি ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মিরপুর থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল এস.এ ছিদ্দিক সাজু ও দেলোয়ার হোসেন দুলুর নেতৃত্বে প্রশিকা ভবনের সামনে থেকে শুরু করতে গেলে পুলিশী বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়।
রূপনগর থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল রূপনগর আবাসিক এলাকা থেকে শুরু হয়ে দুয়ারী পাড়া গিয়ে শেষ হয়। দারুস সালাম থানা বিএনপির একটি মিছিল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ মাসুদ খানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি দিয়াবাড়ি বাসষ্ট্যান্ড থেকে মাজার রোডে এসে শেষ হয়। দারুস সালাম থানা বিএনপির আরেকটি মিছিল এইচ.এম ইমরান, মোঃ ফারুক হোসেন, নজরুল ইসলাম ও আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ভাষানটেক থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল কচুক্ষেত বাজার এর সামনে থেকে শুরু করতে গেলে পুলিশী বাঁধায় মিছিলটি পন্ড হয়ে যায়। মিছিল থেকে একজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। দক্ষিণখান থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল হাজী ক্যাম্প থেকে শুরু হয়ে বিমান বন্দর স্টেশনের নিকট আসলে পুলিশি বাঁধায় পন্ড হয়ে যায়। দক্ষিণখান থানা বিএনপির আরেকটি মিছিল দক্ষিণখান বাজার থেকে মোল্লারটেক পর্যন্ত গেলে পুলিশী বাঁধায় মিছিলটি পন্ড হয়ে যায়। তুরাগ থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল আবু তাহের খান আবুলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ৫নং সেক্টর থেকে শুরু হয়ে ২নং সেক্টরে পৌঁছালে পুলিশী বাঁধায় মিছিলটি পন্ড হয়ে যায়।
রামপুরা থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান মিহিরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল সফল করায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম.এ কাইয়ুম এবং সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান সর্বস্তরের নেতকর্মীদেরকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
কর্মসূচির অংশ হিসাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পুলিশের কঠোর নজরদারী ও বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বাধা দেয়। এসব ঘটনায় নূর মোহাম্মদ, হুমায়ন, সোনা মিয়াসহ ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহতহয়। পুলিশ গ্রেফতার করে লালবাগ থানার বিএনপি নেতা রাসেলসহ ৫/৬ জনকে।
কলাবাগান থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল গ্রীন রোডস্থ’, ওয়ার্ল্ড ইউনিভাসিটির্র সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেপজা অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ডেমরা থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল ষ্টাফ কোয়াটার থেকে শুরু হয়ে মীরপাড়া সি,এন,জি পাম্পে গিয়ে শেষ হয়। মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ হান্নানের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর মুক্তাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট এলে পুলিশী বাধার মুখে শেষ হয়। শাহবাগ থানা বিএনপির ২০নং ওয়ার্ড একটি বিক্ষোভ মিছিল মহানগর বিএনপির সহ- সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদের নেতৃেত্ব ঢাকা মেডিকেলের সামনে থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্তরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। ধানমন্ডি থানার থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল ধানমন্ডি ১৯ নম্বর থেকে শুরু হয়ে মধুুবাজার গিয়ে শেষ হয়।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে সুত্রাপুর থানার একটি মিছিল রায় সাহেব বাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সুত্রাপুর থানার অন্য একটি বিক্ষোভ মিছিল লক্ষীবাজার থেকে শুরু করে নন্দনাল দত্ত লেন হয়ে হৃষিকেশ দাস রোডস্থ হানিফ ষ্টিল মিলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ওয়ারী থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল র‌্যাংকিন স্ট্রীট থেকে শুরু করে বিভিন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বি,সি,সি, রোডে এসে শেষ হয়। খিলগাঁও থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল খিদমাহ হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্লীমা সংসদে গিয়ে শেষ হয়। মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন খোকনের নেতৃত্বে লালবাগ থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল চকবাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে কিছুদূর অগ্রসর হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এখানে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হুমায়ন, সোনামিয়াসহ ৫/৬ জন আহত হয়। পুলিশ বিএনপি কর্মী রাসেলসহ ৪ জনকে আটক করে।
যাত্রাবাড়ী থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল শহীদ ফারুক সড়ক থেকে শুরু করে কিছু দূর অগ্রসর হলে পুলিশী বাধার মুখে শেষ হয়। মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মীর হোসেন মীরুর নেতৃত্বে জুরাইন রেলগেট থেকে শুরু করে ধোলাইপাড় মোড় হামিদা সি,এন,জি পাম্পে গিয়ে শেষ হয়। বংশাল থানা বিএনপির একটি মিছিল আল রাজ্জাক হোটেলের সামনে থেকে শুরু হয়ে সুরিটোলা স্কুলে গিয়ে শেষ হয়। কোতয়ালী থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল ওয়াজঘাট থেকে শুরু হয়ে পাটুয়াটুলী এসে শেষ হয়। কোতয়ালী থানার অপর একটি মিছিল নয়াবাজার কাগজ মার্কেটের সামনে থেকে শুরু করে বাবুবাজার গিয়ে শেষ হয়। কোতয়ালী থানার আরও একটি মিছিল ইসলামপুর থেকে শুরু হয়ে জিন্দবাহার গিয়ে শেষ হয়। কামরাঙ্গীর চর থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল কালুনগর থেকে শুরু হয়ে হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে এসে শেষ হয়। শ্যামপুর থানার একটি বিক্ষোভ মিছিল দয়াগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে জুরাইন নতুন সড়কে এসে শেষ হয়। এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের পল্টন, মতিঝিল, রমনা, শাহজাহানপুর, সবুজবাগ থানাসহ সকল থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশী হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ