বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পশ্চিম উপকূলে ‘নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা বসাচ্ছে’ পেন্টাগন

৩ ডিসেম্বর, রয়টার্স : ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসাতে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে জায়গা বাছাই করছে পেন্টাগন। শনিবার মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ বাড়ছে। ফলে আত্মরক্ষার প্রস্তুতি আরও দৃঢ় করার দিকে এগোচ্ছে দেশটি।

নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী টার্মিনাল হাই অলটিট্যুড এরিয়া ডিফেন্সের (থাড) মতো হবে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা; পিয়ংইয়ংয়ের সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এড়াতে ইতোমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় ওই অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সাম্প্রতিক গতি ও আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখ-ে পারমাণবিক বোমাযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারে আশঙ্কায় মার্কিন সরকারের ওপর অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসানোর চাপ বাড়ছিল।

শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ং নতুন ধরণের একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায় যা ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনও নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় পড়বে বলে জানিয়েছে তারা। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সংস্থা (এমডিএ) পশ্চিম উপকূলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান মার্কিন কংগ্রেসের হাউজ আর্মড সার্ভিস কমিটির সদস্য মাইক রজার্স।

২০১৮ সালের জন্য অনুমোদিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেটে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যয়ের উল্লেখ না থাকায় এখনি এর কাজ শুরু করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

“এখন শুধু স্থান খোঁজা হচ্ছে। এমডিএ দেখছে কোথায় এটি বসানো যায়, পরিবেশের ওপর প্রভাবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে,” দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় রেগান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স সাবকমিটির চেয়ারম্যান রজার্স। তবে এমডিএ কোন কোন এলাকাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে তা বলতে রাজি হননি আলাবামার এ রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ