শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বিল পরিশোধের ব্যর্থতায় লাশ পণবন্দী না করার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার : চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোন অসচ্ছল ব্যক্তি মারা গেলে হাসপাতাল বা কোনো ক্লিনিক ওই মৃত ব্যক্তির লাশ পণবন্দী করে রাখতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অসচ্ছলদের চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধে একটি তহবিল গঠন করতে সরকারের স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একটি রুল নিষ্পত্তি করে গতকাল সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কয়েকটি নির্দেশনাসহ এ রায় দেন।
২০১২ সালের ১০ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে ‘নবজাতকের লাশ হাসপাতালে রেখে চলে গেলেন বাবা-মা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে চিকিৎসা ভাতা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ দিতে অস্বীকৃতি জানায় বলে উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ একই বছরের জুন মাসেই একটি রিট করে। প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১৪ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরেসদ। অন্যদিকে সিটি হাসপাতালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাবিল আহসান।
আদালত লাইসেন্স করা সব ক্লিনিক ও হাসপাতালকে চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে লাশ পণবন্দী করে না রাখার নির্দেশনা অবহিত করতে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটি সাকুর্লার জারি করতে বলেছেন। একই সঙ্গে ২০১২ সালের ৮ জুন সিটি হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর পর অভিভাবকের কাছে দ্রুত লাশ হস্তান্তরে ব্যর্থতার বিষয়টি অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন উল্লেখ করে আদালত সিটি হাসপাতালকে আঞ্জুমান মফিদুলকে পাঁচ হাজার টাকা দান করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, একজন গরিব মানুষ তার সন্তানকে মোহাম্মদপুরে সিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন ও ১৫ হাজার টাকা জমা  দেন। পরে কয়েক দিন চিকিৎসার পর নবজাতকের মৃত্যু হলে তার চিকিৎসা বাবদ আরও ২৬ হাজার টাকা বিল পরিশোধের কথা বলা হয়। শিশুটির বাবা এই বিল পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়, যা অত্যন্ত অমানবিক ও চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে শুনানিতে তিনি উল্লেখ করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ