শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের বেশিরভাগই রোগী

খুলনা অফিস: মায়ের চিকিৎসার জন্য মাঝে মধ্যে কলকাতায় যেতে হয় আবু হেলালকে। বেনাপোল হয়ে ভাঙা পথে যেতে খরচ কম লাগে ঠিকই। কিন্তু অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। এজন্য ভাড়া একটু বেশি হওয়ার পরও ঝামেলামুক্ত যাত্রার জন্য খুলনা স্টেশন থেকে মৈত্রী ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেসের চারটি টিকিট কেটেছেন তিনি।
জানা গেছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবেন এমন অনেক যাত্রী আছেন। বন্ধন এক্সপ্রেসে যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছেন মূলত রোগী ও তাদের স্বজনরা। খুলনা রেল স্টেশনের প্রধান টিকিট বুকিং সহকারী (ভারপ্রাপ্ত) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা দেখেছি, এ পর্যন্ত টিকিট সংগ্রহকারীদের অধিকাংশই রোগী। প্রত্যেকের সঙ্গে যাবেন আরও তিন-চার জন।’
খুলনা স্টেশন থেকে ট্রেনে কলকাতা যাওয়ার জন্য ক্রমে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে।
রোববার ছিল বন্ধন এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিন। এদিন কেনাবেচা হয়েছে ৮০টি টিকিট। এর মধ্যে কেবিন ২৫টি ও চেয়ার ৫৫টি। এ নিয়ে চার দিনে বিক্রি হলো ১৯৪টি টিকিট।
খুলনা রেলস্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খুলনা থেকে কলকাতায় যাওয়ার ট্রেন চালু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষদের জন্য বেশ সুবিধা হবে। বিশেষ করে রোগীরা কোনও দুর্ভোগ ছাড়াই সরাসরি কলকাতায় পৌঁছাতে পারবেন। ফলে আগামীতে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে মনে হচ্ছে।’
গত ৯ নবেম্বর শুভেচ্ছা যাত্রার মধ্য দিয়ে চালু হয় খুলনা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস। ওইদিন এতে ছিলেন কলকাতা থেকে আসা ১৮ সদস্যর প্রতিনিধি দল।
আগামী ১৬ নবেম্বর থেকে ট্রেনটিতে চড়ে যাত্রীরা কলকাতায় যেতে পারবেন। ওইদিন দুপুর ১২টায় খুলনা রেলস্টেশনে আসবে বন্ধন এক্সপ্রেস। এরপর দুপুর ১টা ২০ মিনিটে যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে মৈত্রী ট্রেনটি। প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়মিত খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচল করবে বন্ধন এক্সপ্রেস।
এদিকে খুলনা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেনের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। তবে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জিএম মো. খায়রুল আলম বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মান বিবেচনায় এ ভাড়ার মধ্যে সামগ্রিক দিক আছে। যাত্রীদের সব কার্যক্রম ট্রেনেই হবে। কোনও ধরনের ভোগান্তির সুযোগ নেই।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ