শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গণপূর্ত সচিবসহ ৫ জনকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার ফার্মগেইটে কৃষি গবেষণার স্মৃতি বিজড়িত ল্যাবরেটরি ভবন ভাঙ্গার ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না করায় উষ্মা প্রকাশ করে সরকারের গণপূর্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে মৌখিক বা লিখিত কোনো আদেশ পালনের ক্ষেত্রে তাদেরকে আরও দায়িত্বশীল হতে বলা হয়েছে। অপর চারজন হলেন-গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের  নির্বাহী পরিচালক, সংশ্লিষ্ট কাজের প্রকল্প পরিচালক এবং ল্যাবরেটরি ভবন ভাঙার ঠিকাদার।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানিতে তাদের সতর্ক করেন। আদালতের আদেশে এই পাঁচজন উপস্থিত হলে আদালত তাদের সতর্ক করেন।
আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আশিক আল জলিল।
পরে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৫ নবেম্বর গণপূর্ত সচিবসহ পাঁচজনকে  তলব করেছিলেন আদালত। তারা হাজির হলে আদালত তাদের সতর্ক করে ভবিষ্যতে আদেশ পালনের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হতে বলেছেন।
শুনানিতে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে বলেন, ঐতিহ্যবাহী ভবনটি না ভাঙতে আদালতের আদেশটি পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গত ৫ নবেম্বর রাজধানীর খামার বাড়ির ল্যাবরেটরি ভবনসহ খামাড়বাড়ি ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা ঐতিহ্যবহনকারী সকল ভবন ভাঙার বিষয়ে জানতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত চিফ প্রকৌশলী, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক, সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্পের পরিচালক ও ল্যাবরেটরি ভবন ভাঙার ঠিকাদারকে তলব করেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১ নবেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এক আদেশে খামার বাড়ির ল্যাবরেটরি ভবনসহ খামাড়বাড়ির মধ্যে থাকা ঐতিহ্যবহনকারী সকল ভবন ভাঙার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বেসরকারি সংস্থা আরবান স্টাডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী তইমুর ইসলামের করা এক রিট আবেদনে ওই আদেশ দেন আদালত।
একইসঙ্গে ল্যাবরেটরি ভবনটি ভাঙা বা ধ্বংস করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত  ঘোষণা করা হবে না, ভাঙা ভবনটি পুনঃনির্মাণ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং ঐতিহ্যবহনকারী ভবনের তালিকা প্রণয়ন করে তা সংরক্ষেণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সরকারের কৃষি, সংস্কৃতি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজউক চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, তুলা উন্নয়ন  বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ও তেজগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ