শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

গতকাল মঙ্গলবার তিতাস উপজেলার শিবপুর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশের্^ শিবপুর গ্রামের ফজলুল হকের বিল প্রদাণের অংশ বিশেষ

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : গতকাল মঙ্গলবার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শীবপুর বাগাইরামপুর চাঁননাগের চর ও গোপালপুর গ্রামের প্রায় পাঁচশত বাখরাবাদ গ্যাস সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আসা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার বাদী হয়ে চার ঠিকাদারের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঐ ঠিকাদাররা বিপুল অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করে। তবে অফিসিয়ালী সকল কাগজপত্র আপটুডেট না থাকার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে তারা হলেন, মাহবুব আলমগীর, জুয়েল ও আল-আমিন। বাখরাবাদা গ্যাস ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর ডি. জি. এম. মো. রবিউল্লাহ ও গৌরীপুর উপ-শাখার ইনচার্জ মো. সগির আহমেদ এর অনুরোধে র‌্যাব-পুলিশ ও আনসার বাহিনীর প্রচুর সংখ্যক সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে চার গ্রামের শ-শ গ্রাহক তাদের বিল বই ও ডিমান্ড নোটসহ উপস্থিত হয়ে নিজের বৈধ গ্রাহক হিসেবে দাবি করেন। শিবপুর গ্রামের মো. ফজলুল হক ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর সংযোগ পাওয়া ও বিল পরিশোধের বই প্রদর্শণ করেন। অভিযুক্ত আল-আমিন মোবাইল ফোনে জানান, তিনি ঐ এলাকায় কোনো ঠিকাদারই কাজ করেননি। তার নাম কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বলেছে। এবং অনেকে তাকে নির্দোষ হিসেবেও দাবি করেন। মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক মিয়া বলেন, গ্যাস কোম্পানীর কেউ না কেউ অবৈধ সংযোগ প্রদানের সাথে জড়িত রয়েছে। তাদেরকে খুজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তবে অনেকের মুখে শোনা গেছে মেসার্স সুমা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী সাইফুল ঠিকাদার অবৈধ সংযোগে জড়িত রয়েছে। উল্লেখ্য দালাল চক্র সংযোগ প্রদানের বিনিময়ে প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে ৬০/৭০/৮০ হাজার টাকা করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রাহকরা দ্রুত তাদের সংযোগ পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ