বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজধানীতে কোটি টাকা মূল্যের পলিস্টার ফেব্রিক্স আটক

স্টাফ রিপোর্টার : বন্ডিং সুবিধায় আনা ২৮১ রোল পলিস্টার ফেব্রিক্স আটক করেছে শুল্ক ও তদন্ত অধিদফতরের গোয়েন্দারা। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর জনসন রোড থেকে কাপড়সহ কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে পণ্য রফতানি উৎসাহিত করতে রফতানিতব্য পণ্যের কাঁচামাল শুল্কমুক্তভাবে আমদানির জন্য ‘বন্ডিং সুবিধা’ প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে পণ্য  তৈরি করে বিদেশে রফতানি না করে অধিক মুনাফার জন্য সেগুলো অবৈধভাবে খোলাবাজারে বিক্রয় করা হচ্ছিলো। কাপড়গুলো আমদানি করা হয় ‘মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ৯১, ধউর, থানা রোড, তুরাগ, ঢাকা’ প্রতিষ্ঠানের নামে। এর আগেও গত ২১ জুন এই একই প্রতিষ্ঠানের আরও ৪টি বন্ডের কাপড় বোঝাই গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা দল আটক করে। তখন প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানাসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছিল।

শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলো এই গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানটি। আটককৃত গাড়ির সঙ্গে থাকা আমদানির কাগজ থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রি নং-১২৮৫৪৩৮ এর মাধ্যমে ৮২৪ প্যাকেজ পলিস্টার ফেব্রিক্স শুল্কমুক্ত (আইএম ৭) সুবিধায় আমদানি করে। পরে আমদানিকৃত কাপড়গুলো ৩টি কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে টঙ্গীর ফ্যাক্টরিতে নিয়ে আসার জন্য বোঝাই করা হয়। কিন্তু গভীর রাতে আমদানিকারক বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের নির্দেশে গাড়িগুলি ফ্যাক্টরির ঠিকানায় না গিয়ে কাঁচপুর ব্রিজ পার হয়ে ঢাকার ভিতরে প্রবেশ করে। তখন চালকদের রাজধানীর ইসলামপুরের দিকে গাড়ি নিয়ে যেতে বলা হয়। এসময় শুল্ক গোয়েন্দার উপস্থিতি টের পেয়ে বাকি ২টি গাড়ি দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে একটি কাভার্ড ভ্যান (চট্ট মেট্রো- ট ১১-৭১২০) আটক করা হয়। গাড়িতে থাকা কাপড়ের মূল্য কোটি টাকা, বলেও জানান তিনি।

ড. মইনুল আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শেষে দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে পালিয়ে যাওয়া বাকি গাড়িগুলো আটকের চেষ্টা চলছে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ