সোনারগাঁয়ে গ্রামবাসীদের ধাওয়ায় পিছু হটে পালিয়ে গেল বালু খেকোরা
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার আনন্দবাজার বালু মহালে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পিছু হটে পালিয়ে গেল বালু খোকোরা। গতকাল শুক্রবার সকালে মেঘনা নদীর আনন্দবাজার এলাকায় জেগে উঠা নতুন চরের চান্দেরপাড়া এলাকায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় গ্রামবাসীরা ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় তারা।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মেঘনা নদীর আনন্দবাজার বালু মহালে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর আবারো পুরো দমে শুরু হয়েছে বালু উত্তোলন। মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনের জন্য সরকারীভাবে কোন ইজারা দেয়া না হলেও স্থানীয় বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নবী হোসেন ও তার সহযোগী আমির হোসেন, সিরাজ মিয়া, মাজারুল ইসলাম ও বহুরূপী বাসেদ মেম্বার সহ কিছু অসাধু লোকজনের যোগসাজসে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি চক্র। গতকাল শুক্রবার সকালে বালু মহালের সিমানা অতিক্রম করে বারদী ইউনিয়নের চান্দেরপাড়া, সেনপাড়া, দলরদী গ্রামের কৃষকদের ফসলি জমির তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করে। পরে খবর পেয়ে ওই তিন গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে লাঠি সোটা নিয়ে বালু খেকোদের ধাওয়া করে। গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে বালু খোকোরা ড্রেজার নিয়ে পিছু হটে পালিয়ে যায়।
চান্দেরপাড়া গ্রামের আহাম্মদ আলী, ইজ্জত আলী ও হোসেন আলী প্রধান জানান, বালু খোকোরা তাদের চান্দের পাড়া, সেনপাড়া, দলরদী গ্রামের কৃষকদের ফসলী জমির তীর ঘেষে বালু উত্তোলন করে। ফলে তাদের ফসলী জমির মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পরে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে দাওয়া করলে তারা পিছু হটে। জমির তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করলে আবারো ধাওয়া করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন ও বাসেদ মেম্বার বলেন, আমরা বালু মহাল থেকেই বালু উত্তোলন করছি। কোনো কৃষকদের ফসলী জমির মাটি কেটে নেয়া হচ্ছেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর ইসলাম জানান, কৃষকদের ফসলী জমির মাটি কেটে নেয়া হলে বিষয়টি তারা লিখিতভাবে জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।